দেশজুড়ে

কম দামে ওষুধ সরবরাহের নামে ১০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে এস কে এফ ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের বিক্রয় প্রতিনিধি বদরুল আরিফ উধাও হয়ে গেছেন। অভিযোগ রয়েছে, বিভিন্ন ফার্মেসি মালিকের কাছ থেকে অন্তত ১০ লাখ টাকা নিয়ে তিনি পালিয়েছেন। গত ৩ দিন ধরে তার মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে। কম দামে ফার্মেসি মালিকদের গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট লোসেকটিল দেয়ার নাম করে তিনি এ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের ভাষ্যমতে, রায়পুর বাজারের বাংলা মেডিকেল হলের ৫০ হাজার, বিসমিল্লাহ ফামের্সির ৮০ হাজার, আলম মেডিকেলের ১০ হাজার, আয়েশা ফার্মেসির ৬০ হাজার, অমিন ফার্মেসির ২০ হাজার, নুর জাহান ফার্মেসির ৩১ হাজার, পাটোয়ারী ফার্মেসির ৩১ হাজার, উপজেলার বাসাড়ি বাজারের নিউ লাইফ ফার্মেসির দেড় লাখ, আমিন ফার্মেসির ৪৫ হাজার ও জোড়পুলের লক্ষ্মী ফার্মেসির ১০ হাজারসহ অন্তত ১০ লাখ টাকা  নিয়েছেন বদরুল আরিফ। গত ১৫ দিনে তিনি এ টাকা নেন। গত বুধবার থেকে তিনি মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্মগোপন করেছেন।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বদরুল আরিফ বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের সংগঠন ফার্মাসিউটিক্যাল রিপ্রেজেন্টিটিভ অ্যাসোসিয়েশনের (ফারিয়া) রায়পুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক। তিনি গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার যারাবশা গ্রামের বাশার আলী সরকারের ছেলে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা পরিষদ সড়কের এক ফার্মেসি মালিক জাগো নিউজকে জানান, বাজারে লোসেকটিলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রতি বক্স ট্যাবলেট ভ্যাটসহ কোম্পানির পাইকারি মূল্য ৩৪৭ টাকা। অথচ এস কে এফ`র বিক্রয় প্রতিনিধি বদরুল আরিফ ২৯০ থেকে ৩১০ টাকা হারে সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্নজনের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়েছেন।রায়পুর প্রধান সড়কের বিসমিল্লাহ ফার্মেসির মালিক বরকত উল্লাহ পাটোয়ারী জাগো নিউজকে বলেন, এস কে এফ ফার্মাসিউটিক্যালের হয়ে আরিফ আমাদের সঙ্গে প্রায় দেড় বছর ব্যবসায়িক লেনদেন করেছেন। কম দামে ওষুধ সরবরাহের কথা বলে ফার্মেসি মালিকদের কাছ থেকে তিনি অন্তত ১০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছেন। এখন তার মোবাইল ফোন নাম্বারগুলো বন্ধ রয়েছে।বক্তব্য জানতে বৃহস্পতিবার বিকেলে বদরুল আরিফের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। তবে ওই কোম্পানির রায়পুর ও রামগঞ্জের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফিল্ড ম্যানেজার মনিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, আরিফ কয়েকজন ওষুধ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। ফার্মেসি মালিকরা ব্যক্তিগতভাবে তার সঙ্গে টাকা লেনদেন করেছেন। এজন্য তাদের কোম্পানি দায়ি নয়।এ ব্যাপারে রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন ভূঁইয়া জাগো নিউজকে বলেন, এক ব্যক্তির কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা নিয়েছে বলে আমাকে জানিয়েছে। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। থানায় মামলা করলে প্রতারণা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।কাজল কায়েস/এমজেড/আরআই

Advertisement