ক্যাম্পাস

ঢাবিতে জবি শিক্ষকের ‘মাস্তানি’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সিনেটের বিশেষ অধিবেশনের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ ঠেকাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষক ‘মাস্তানি’ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ওই শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জামার কলার ধরে ধাক্কা দেন এবং লাথি মেরে সরিয়ে দিতে চান।

Advertisement

শনিবার বিকেলে সিনেট অধিবেশন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনের মূল ফটকে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত জবি শিক্ষকের নাম কাজী ফারুক হোসাইন। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) প্রভাষক এবং বিশ্ববিদ্যালয় আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের নেতা। এর আগে তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ছিলেন।

জানা গেছে, সিনেটের এ অধিবেশন থেকে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন হওয়ার কথা থাকায় শিক্ষার্থীরা ছাত্র প্রতিনিধিহীন এ অধিবেশনকে ‘অবৈধ’ দাবি করে বিক্ষোভ করেন। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বিক্ষোভ নিয়ে সিনেট ভবনের প্রবেশ মুখে গেলে সেখানে তালা দেখতে পান। এ সময় তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলে সেখানে থাকা শিক্ষকদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়।

Advertisement

একপর্যায়ে সেখানে ঢাবি শিক্ষকদের সঙ্গে থাকা জবি শিক্ষক ফারুক হোসাইন সাধারণ শিক্ষার্থীদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিতে চান। জামার কলার ধরে কয়েকজনকে ফেলে দেয়ারও চেষ্টা করেন তিনি। লাথিও মারতে থাকেন কয়েকজন শিক্ষার্থীকে।

এ বিষয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেখানে থাকা এক শিক্ষক জাগো নিউজকে বলেন, এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমি তাকে চিনতেও পারছিলাম না। কিন্তু তিনি শিক্ষার্থীদের ধাক্কা দিচ্ছেন।

আমাদের ছেলে-মেয়েদের আমরা শাসন করব আবার আদর করব। এটা আমরা পারি কিন্তু কোনো বহিরাগত এখানে এসে এ দায়িত্ব নিতে পারেন না। এ শিক্ষক মনে করেন এটা হয়তো কোনো খারাপ উদ্দেশ্যে এখানে এসেছেন।

তবে বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন ঢাবি ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ এম আমজাদ। তিনি বলেন, “সে আমাদের সাবেক ছাত্র হতে পারে। তো সাবেক ছাত্র হিসেবে তিনি হয়তো বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘ওন” করেই এমন করেছেন। তিনি আমাদের এখানেও শিক্ষক হওয়ার আবেদন করেছেন। তবে এখনও হয়নি, হয়ে যাবেন।”

Advertisement

এ বিষয়ে জবি উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, এ বিষয়ে আমি এখন কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। যেহেতু আমি বিষয়টি মাত্র শুনেছি। এর সত্যতা যাচাই করতে হবে। যদি এটি অভিযোগ আকারে আসে তাহলে আমরা দেখব।

তবে এ বিষয়ে জানতে জবি শিক্ষক ফারুক হোসাইনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

এমএইচ/বিএ/এমএস