জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, সরকার কথায় কথায় বলে দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। আমরা তো দেখি এখন মহাসড়কে শুধু পানি আর পানি। পানি দিয়ে সরকার কি উন্নয়ন করছে, তা তো দেশের মানুষ হারে হারে টের পাচ্ছে।
Advertisement
শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জাতীয় পার্টির যৌথসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। যৌথ সভায় সারাদেশ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন।
এরশাদ বলেন, দেশের সব কিছুতে জট লেগেছে, উন্নয়নে জট, চাকরিতে জট, রাস্তাঘাটে জট, দুর্নীতিতে জট। এ জট খুলতে হবে। আওয়ামী লীগ-বিএনপি এ জট লাগিয়েছে। জাতীয় পার্টিই পারে এ জট খুলে দেশের মানুষকে শান্তি দিতে। তাই আগামী নির্বাচনে লাঙ্গল মার্কায় ভোট দিয়ে জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় আনার জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা ও মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। চারদিকে দুর্নীতি আর সন্ত্রাস। ব্যাংকের টাকা লুট হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও টাকা লুটপাট করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু সরকার কিছু করছে না।
Advertisement
চারদিকে আজ দুর্নীতি ছেয়ে গেছে। ঢাকা শহর বসবাসের অযোগ্য হয়ে গেছে। কোথাও শান্তি নেই। চারদিকে অশান্তি। এর থেকে দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে। জাতীয় পার্টিই পারে দেশের মানুষকে বাঁচাতে ।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, সম্মিলিত জাতীয় জোটের ব্যানারে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা তিনশ আসনে প্রার্থী দেব। আওয়ামী লীগ-বিএনপির হাত থেকে দেশের মানুষ আমাদের ভোট দিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনবে বলে বিশ্বাস করি। ক্ষমতায় এসে আমরা দেশের মানুষকে শান্তি ফিরিয়ে দেব। দুর্নীতি, লুটপাট ও সন্ত্রাস চিরতরে বন্ধ করব।
এরশাদ বলেন, আগামী তিন মাস সারাদেশে জাতীয় পার্টি ও জোটের ব্যানারে সভা-সমাবেশ হবে। শহর-বন্দর-গ্রাম-গঞ্জে পার্টিকে আরও সুসংগঠিত করতে হবে। এরপর আগামী নভেম্বরে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জোটের পক্ষ থেকে মহাসমাবেশের ঘোষণা দেন এরশাদ।
সভায় বক্তব্য রাখেন বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, আব্দুর রশিদ সরকার, সাহিদুর রহমান টেপা, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, একিউ তাজ রহমান, মাহজাবিন মোর্শেদ এমপি, নুরুল ইসলাম ওমর এমপি, মোহম্মদ নোমান মিয়া এমপি, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, জহিরুল আলম রুবেল, একেএম গোলাম মতুর্জা।
Advertisement
সভায় উপস্থিত ছিলেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবুল কাশেম, তাজুল ইসলাম চৌধুরী, হাফিজউদ্দিন আহমেদ, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, গোলাম মোহাম্মদ রাজু, জহিরুল ইসলাম জহির, আরিফ খান, আরমগীর শিকদার লোটন, আমির হোসেন এমপি, ফখরুল আহসান শাহজাদা, সুলতান আহমেদ, সুজন দে, আব্দুর রাজ্জাকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
এমইউএইচ/জেএইচ/আরআইপি