হজের অন্যতম আমল হল পবিত্র বাইতুল্লাহ শরীফের চর্তুদিকে তাওয়াফ করা। তাওয়াফ শব্দের অর্থ হলো প্রদক্ষিণ করা বা চক্কর দেয়া। বাইতুল্লাহ শরীফের চর্তুদিকে তাওয়াফ করা হলো হজ এবং ওমরার জন্য ফরজ রুকন। যা অকট্যভাবে পালন করতে হবে।
Advertisement
আল্লাহ তাআলার নিকট বাইতুল্লাহর চর্তুদিকে তাওয়াফ করা আর তালবিয়া পাঠ এতই পছন্দনীয় যে, আল্লাহ তাআলা প্রতিদিন বাইতুল্লাহ শরীফের ওপর ১২০টি রহমত নাজিল করেন। এরমধ্যে শুধুমাত্র তাওয়াফকারীদের জন্য ৬০টি রহমত নির্ধারণ করেছেন। তাওয়াফের রয়েছে কিছু আহকাম ও শর্ত। যা তুলে ধরা হলো-
তাওয়াফের আহকাম>> তাওয়াফের চক্কর পূর্ণ করা।>> তাওয়াফের স্থানেই তাওয়াফ করা। অর্থাৎ বাইতুল্লাহ শরীফের বাইরে মসজিদে হারামের ভিতরে তাওয়াফ করা।>> তাওয়াফ করতে হবে নিজেকে। কোনো কিছুর ওপর সাওয়ার হয়ে হলেও। অর্থাৎ যে ব্যক্তি তাওয়াফের নিয়ত করবে তাওয়াফ তাকেই করতে হবে। আর হেঁটে তাওয়াফে অক্ষম হলে যানবাহন বা সাওয়ারিতে আরোহন করে তাওয়াফ করা।
তাওয়াফের শর্ততাওয়াফের জন্য ৬টি শর্ত রয়েছে। এগুলো মধ্যে ৩টি শর্ত সর্বাবস্থায় প্রযোজ্য। আর ৩টি শর্ত শুধুমাত্র হজের ফরজ রুকন তাওয়াফে জিয়ারাতের জন্যই প্রযোজ্য।
Advertisement
সর্বাবস্থায় পালনীয় ৩ শর্ত>> মুসলমান হতে হবে।>> তাওয়াফের নিয়ত অর্থাৎ তাওয়াফের ইরাদা বা ইচ্ছা থাকতে হবে।>> তাওয়াফ মসজিদে হারামের মধ্যে হতে হবে।
হজের জন্য পলনীয় ৩ শর্ত>> তাওয়াফে জিয়ারত নির্দিষ্ট সময়ে হওয়া। আর তা হলো ১০ জিলহজ সুর্যোদয়ের পর থেকে ১২ জিলহজ সুর্যাস্তের আগ পর্যন্ত।>> তাওয়াফ ইহরামের পরে হওয়া।>> আর উকুফে আরাফা অর্থাৎ আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের পরে হওয়া (৯ জিলহজ)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাওয়াফের আহকাম ও শর্তগুলো যথাযথ পালন করে সঠিক ও সুন্দরভাবে তাওয়াফ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস
Advertisement