এবার মানসিক ভারসাম্যহীন খোদেজা বেগমের পাশে দাঁড়ালেন ব্যাংকার শামীম আহম্মেদ। নিজ খরচে তাকে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ করার দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। খোদেজা বেগমের স্বামী-সংসার থাকলেও অর্থাভাবে চিকিৎসা হচ্ছিল না।
Advertisement
শনিবার সকালে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়নের সাহেলী গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে খোদেজা বেগমকে নিয়ে ঢাকায় রওনা হন যমুনা ব্যাংকের সিনিয়র এক্সকিউটিভ অফিসার শামীম আহম্মেদ। নিজ খরচে তাকে চিকিৎসা করাবেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে। এ সময় শামীমের বন্ধু সফিক, সাংবাদিক বি.এম খোরশেদসহ গ্রামের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
শামীম আহম্মেদ জানান, একই উপজেলার পুখুরিয়া বাসস্ট্যান্ড থেকে গত বছর মানসিক ভারসাম্যহীন পারুলকে উদ্ধার করেন তিনি। এ সময় তিনি খোদেজা বেগমের কথা জানতে পারেন। অর্থাভাবে তার চিকিৎসা হচ্ছিল না। তার ছেলে ও স্থানীয়দের কাছে কথা দিয়েছিলেন খোদেজাকে চিকিৎসা করাবেন তিনি।
খোদেজা বেগমের ছেলে সায়েদুর রহমান জানান, তার মা এক যুগেরও বেশি সময় ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। সংসারের কোনো কাজকর্ম করেন না। সারাদিন শুধু ঘরের ভেতর বসে থাকেন আর পান খান। অনেক সময় তাদেরও চিনতে পারেন না। এমনকি নানা ও এক মামার মৃত্যুর পরও মায়ের কোনো শোক দেখা যায়নি। মায়ের এমন মানসিক সমস্যা থাকলেও অর্থাভাবে চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছিল না বলে জানান সায়েদুর। ব্যাংকার শামীম আহম্মেদ মায়ের চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়ায় খুশি তারা।
Advertisement
শামীম আহম্মেদ এর আগে বান্দরবানের লামা থেকে অন্তর, মানিকগঞ্জের পুখুরিয়া থেকে পারুলী, ঢাকার পল্টন থেকে আদরী এবং সুনামগঞ্জ থেকে রাণী নামে (চারটিই তার নিজের দেয়া নাম) চার মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে রাস্তা থেকে তুলে এনে চিকিৎসা করিয়েছেন। পরিচয় সংগ্রহ করে তাদের পৌঁছে দিয়েছেন পরিবার-পরিজনের কাছে। সুনামগঞ্জ থেকে আনা রাণী এখনও মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।
বি.এম খোরশেদ/আরএআর/এমএস