সংসার মানেই হাসি-কান্না ও সুখ-দুঃখের সম্মিলন। সংসারে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মধুর দাম্পত্য সম্পর্কের পাশাপাশি মনোমালিন্য হওয়াও স্বাভাবিক। কিন্তু এই মনোমালিন্য যদি হয় নিয়মিত তাহলে তা মোটেও সুখকর নয়।খেয়াল রাখতে হবে, কোনোভাবেই যেন রাগ দীর্ঘস্থায়ী না হয়। মনোমালিন্য খুবই খারাপ সমস্যা, যা সুন্দর সম্পর্ককে নষ্ট করে দিতে পারে। তবে কিছু কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে সচেতন স্বামীরা সহজেই স্ত্রীর রাগ সামলে নিতে পারেন।নিচে তেমন কিছু বিষয় জানান হলো-স্ত্রী কিসে খুশি হয় সেটি খুঁজে বের করুন : প্রতিটি নারীর কিছু দুর্বল জায়গা থাকে। কিছু কিছু সাধারণ বিষয় থাকে, যাতে স্ত্রীরা খুব অল্পতে পটে যায়। তার একটি তালিকা তৈরি করুন। নিয়মিত তা চর্চার চেষ্টা করুন।প্রতিজ্ঞা রক্ষার চেষ্টা করুন : স্ত্রীর কাছে কোনো প্রতিজ্ঞা করলে বা প্রতিশ্রুতি দিলে তা রক্ষা করার চেষ্টা করুন। ভুলবশত তার রাগের কারণে বড় কোনো অঙ্গীকার করা ঠিক না। যদি কখনও কোনো অঙ্গীকার ভঙ্গ করেই থাকেন তবে তা না লুকিয়ে বরং তার কাছে দুঃখ প্রকাশ করুন।রাগের সময় যুক্তি দিতে যাবেন না : যখন আপনার স্ত্রী প্রচণ্ড রেগে যান, তখন কোনো কথা সে শুনতে পছন্দ করবে না। তাই কথা না বলে শুধু তার দিকেই দৃষ্টি রাখুন। এমন কিছু করবেন না যাতে সে আরও রেগে যায়। আবার তার রাগকে তাচ্ছিল্যও করবেন না। রেগে গেলে তর্ক করবেন না বা পাল্টা যুক্তি উপস্থাপন করবেন না বরং আন্তরিক হওয়ার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন অনেক সময় রাগান্বিত অবস্থায় কোনো যুক্তি উপস্থাপন করলে তা আরও রাগের হয়ে দাঁড়ায়। স্ত্রীর পাশে বসুন, স্ত্রী শান্ত না হওয়া পর্যন্ত রাগের বিষয় জানতে চাইবেন না। রাগের কারণ জানার জন্য কিছু সময় অপেক্ষা করুন, যতক্ষণ না আপনার স্ত্রী শান্ত বা প্রাণবন্ত না হয়।একমত হন, প্রয়োজনে আত্মসমর্পন করুন : আপনি আপনার স্ত্রীর মতের সঙ্গে একমত নন। কিন্তু শান্ত করার জন্য একমতের ভান করতে পারেন। জানান তার কথার সঙ্গে আপনি একমত। হতে পারে তা আপনার মাথা নাড়ানোর মাধ্যমে, মাঝে মাঝে বশ্যতা প্রকাশ করুন।আঘাত করবেন না : অনেক সময় স্ত্রী আবেগ প্রকাশের জন্যও রাগ দেখায়। বিশ্বজুড়ে এটি স্ত্রীদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। তার রাগের কারণ হতে পারে আপনার আচরণ, চাকরি কিংবা খোঁচা মেরে কথা বলা। আবার এও হতে পারে, সে যা বলে তা সম্পর্কে নিজেও অবহিত নন। এ সময় তাকে শান্ত করার চেষ্টা করুন। পরবর্তী সময়ে দুজনে বিষয়টি নিয়ে বসুন, নতুন করে আলাপ করুন। মনে রাখবেন, ভুলেও স্ত্রীর গায়ে হাত তুলবেন না। এটি কাপুরুষতার অন্যতম লক্ষণ।খোঁচা নয় পরামর্শ দরকার : অনেক কারণেই আপনার স্ত্রীর মনে রাগ ক্ষোভ-জমে থাকতে পারে। হতে পারে এটি আপনার বাবা-মায়ের কারণেও। তাই হঠাৎ আপনার সঙ্গে কঠিন করে কথা বললে তার প্রতিউত্তর না দেওয়ারই চেষ্টা করবেন। তাকে তার অতীত, পাবিারিক অবস্থা, স্বভাব নিয়ে খোঁচা দিবেন না বরং কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায় বা সে নিজেকে শুধরে নিতে পারে সে বিষয়ে পরামর্শ দিন।মনে রাখবেন, অধিকাংশ নারী রেগে গেলে তা মুখে প্রকাশ করে। এটি হরমোনের কারণে হয়ে থাকে। রাগের সময় তাকে শান্ত হতে সাহায্য করুন, যা সবার জন্য ভাল। দেখবেন তিনি বলছেন, ঝগড়ার দৃশ্য তাকেও বিরক্ত ও হতাশ করে।
Advertisement