ইয়েমেনে মহামারী আকার ধারণ করা কলেরা সৌদি আরবে আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত হজে আসা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এরইমধ্যে কলেরায় ইয়েমেনে অন্তত ৩ লাখ ৩২ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।
Advertisement
যদিও এ বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষের ভালো প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
ডব্লিউএইচওর ভাষ্য, প্রতি বছর সৌদি আরবে পবিত্র হজব্রত পালন করতে আসেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের অন্তত ২০-৪০ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলিম। এদের মধ্যে অন্তত ১৫-২০ লাখ বিদেশি থাকেন। ফলে এ সময়ে ডেঙ্গু, পীতজ্বর, জিকা ভাইরাসসহ কলেরার মতো জীবাণুবাহিত সংক্রামকের প্রকোপ দেখা যেতে পারে।
ডব্লিউএইচওর এক বুলেটিনের বরাত দিয়ে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়েমেনে কলেরা ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। আফ্রিকার কিছু দেশেও তা ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মানুষের মাধ্যমে আসন্ন হজে কলেরা সংক্রমণ কিংবা হাজিরা নিজে দেশে ফেরার পর কলেরায় আক্রান্তের আশঙ্কা রয়েছে।
Advertisement
ডব্লিউএইচওর কলেরা বিশেষজ্ঞ ডমিনিক লেগরস বলেছেন, সৌদিতে দীর্ঘ সময় ধরে কলেরা প্রকোপ নেই। তিনি এ বিষয়ে সৌদি কর্তৃপক্ষকে ব্যাপক নজরদারি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা ব্যবস্থার কারণে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, হজে স্থানীয় আশপাশের দেশগুলো থেকে প্রচুর মানুষ যাচ্ছেন। কিন্তু কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে সৌদি তা রুখতে পারবে না, বিশেষ করে বাসস্থানের অবস্থা, নিরাপদ পানিপ্রাপ্তি ও স্বাস্থ্যকর অবস্থার বিষয়টি সব নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না।
তিনি জানান, পানিবাহিত ডায়রিয়া ও খাবারের মাধ্যমে ছড়ানো এ রোগ প্রাক মুহূর্তে থেকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে। একবার আক্রান্তের পর যথাযথ চিকিৎসা না হলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কলেরায় রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।
এরইমধ্যে এ বছরের হজের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে হজব্রাত পালনে সৌদি পৌঁছেছেন লাখো মানুষ।
Advertisement
এসআর/জেআইএম