মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সংকটে বিপদে থাকা কাতারের বিরুদ্ধে প্রতিবেশী সংযুক্ত আরব আমিরাত ও অন্যান্য উপসাগরীয় দেশগুলোর বিরুদ্ধে করা ‘চক্রান্তের’ তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছে আমিরাতের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।
Advertisement
ওই তথ্যচিত্রে বলা হয়, কাতার ‘আল ইসলাহ’ নামে আমিরাতের এক ইসলামী গ্রুপকে সমর্থন করেছে এবং এর সদস্যদের কাতারের হোটেলে আবাসিক সুবিধা দিয়েছে।
এর স্বপক্ষে তথ্যচিত্রে মাহমুদ আল জা’দাহ নামে এক ব্যক্তির অভিও ও ভিডিও স্বীকারোক্তি রয়েছে; যিনি মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে সম্পৃক্ত আল ইসলাহকে সমর্থন দেওয়ায় সাত বছর কারাদণ্ড পেয়েছেন।
আল জা’দাহ বলেছেন, আল ইসলাহর গঠন কাঠামো অনেকটাই কাতারি মুসলিম ব্রাদারহুডের মতো। এতে নির্বাহী দফতর ও শূরা কাউন্সিল রয়েছে।
Advertisement
আল জা’দাহ গত দুই দশকে কাতারের ‘পছন্দসই’ ও ‘শুধু’ সন্ত্রাসী সংগঠনের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে দেশটির রূপান্তরকে তুলে ধরেছেন।
জা’দাহ জানান, কাতারের এই উদ্যোগের ফলে সন্ত্রাসী সংগঠনে ‘স্পষ্ট অর্থায়ন’ করা হয়েছে। কাতার সরকার মুসলিম ব্রাদারহুডের পলাতক সদস্যদের বস্তুগত ও নৈতিক সমর্থন দিয়েছে।
ওই তথ্যচিত্রে মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতি কাতারের মুগ্ধতার বিষয়টিও তুলে ধরা হয়।
তথ্যচিত্রে দেখানো হয়, কাতার খালিদ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল সায়বার মাধ্যমে কাতার কর্তৃপক্ষ আল ইসলাহর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করে। সায়বার বিরুদ্ধে আমিরাতে মুসলিম ব্রাদারহুডের শাখা স্থাপনের বিষয়ে সংস্থাটির সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগ রয়েছে, এজন্য তিনি ১০ বছরের সাজা ভোগ করেন।
Advertisement
আল ইসলাহর সঙ্গে কাতারের সম্পর্কের মাধ্যমে সংস্থাটির ‘আহল আল হল ওয়া আল আকদ' কাউন্সিলের পরিচালনা পর্ষদের ৩০ জন প্রতিনিধিসহ সদস্যরা কাতারের ক্ষমতাসীনদের সহায়তায় রাষ্ট্রীয় সুবিধা পেতে শুরু করেন। এদের মধ্যে ইসা আল আনসারি, মোহাম্মদ থানি, নাসের মোহাম্মদ ইসা, ইব্রাহিম আল ইব্রাহিম, আব্দুল হামিদ মাহমুদ ও খামিস আল মোহান্নাদির নাম জানান জা’দাহ।
এই স্বীকারোক্তির মাধ্যমে আমিরাতের ভেতরে ও উপসাগরীয় এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে উপসাগরীয় নাগরিকদের নিয়োগে দোহার চেষ্টার বিষয়টি উঠে আসে। আমিরাতই বছরের পর বছর ধরে মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রধান নিশানা রয়েছে বলে তথ্যচিত্রে প্রমাণ তুলে ধরা হয়।
এসআর/জেআইএম