মোহামেডান, শেখ জামাল কিংবা অন্য কোনো বড় ক্লাব নয়- এবার দলবদলের আগে থেকেই আবাহনীর মনস্তাত্ত্বিক লড়াইটা চলছিল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের সঙ্গে। আরিফুল ইসলাম, তপু বর্মন, হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস, জুয়েল রানা ও শাকিল আহমেদ- এই ৫ ফুটবলারকে নিয়ে হয়েছে আবাহনী ও সাইফের মধ্যে টানাটানি। ৫ জনই আবাহনী ছেড়ে যোগ দেন সাইফে। আবাহনী তাদের নিষিদ্ধ পর্যন্ত করেছিল। শেষ পর্যন্ত বাফুফের সিদ্ধান্তে মুক্ত হয়ে ওই ৫ ফুটবলার সাইফের পক্ষেই দলবদলে স্বাক্ষর করেন।
Advertisement
দলবদল কার্যক্রম শুরুর অনেক আগে থেকে আবাহনী ও সাইফের মধ্যে টেবিলের যে লড়াইটা চলে আসছিল তার প্রভাব দেখা যায় মাঠেও। নামে, ধারে-ভারে আর ঐতিহ্যে আবাহনীর সামনে সাইফ স্পোটিং ক্লাব নস্যি। তবে অভিষেক আসরে শক্তিশালী দল গড়ে নতুন ক্লাবটি মাঠে ঠিক চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে অন্যদের। প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনী ম্যাচে এ দুই দল মুখোমুখি হয়েছে স্বাভাবিক নিয়মেই। কাকতলীয়ভাবে ফেডারেশন কাপের উদ্বোধনী ম্যাচেও মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। আবাহনীকে ওই ম্যাচে জিততে দেয়নি সাইফ, ড্র করেছিল ১-১ গোলে।
৫ ফুটবলার হারানোর প্রতিশোধটা ফেডারেশন কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে নিতে না পারায় আরো তেতে ছিল আবাহনী। প্রিমিয়ার লিগে সে ঝালটা মেটালেও বেশ বেগ পেতে হয়েছে ধানমন্ডির ক্লাবটিকে। ২ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর মনে হয়েছিল আবাহনী সহজ জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারবে; কিন্তু সাইফ যে ছেড়ে দেয়ার পাত্র নয়, তা বুঝিয়ে দিয়েছে পাল্টা দুই গোল দিয়ে।
আবাহনীর জালে বল পাঠিয়েছেন ওই ৫ ফুটবলারের দুইজন তপু বর্মন ও জুয়েল রানা। তাতো কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দেয়ার মতো। মাঠে উত্তেজনা, দুই দলের ডাগআউটও হয়ে উঠেছিল উত্তপ্ত কড়াই। ক্ষোভ আর হতাশায় ফুঁসছিল পশ্চিম গ্যালারিও। জিততে না পারুক, আবাহনীকে রুখে দিয়ে প্রিমিয়ার লিগের অভিষেক ম্যাচটি শেষ করার প্রস্তুতিও নিচ্ছিল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের খেলোয়াড়-কর্মকর্তারা। শেষ পর্যন্ত সমতা আর ধরে রাখতে পারেনি নবাগত দলটি। অভিজ্ঞ নাসির উদ্দিন চৌধুরির করা শেষ দিকের গোল ম্যাচের সঙ্গে মনস্তাত্ত্বিক জয়টিও এনে দেয় আবাহনীকে।
Advertisement
আরআই/আইএইচএস/পিআর