ইতালি থেকে লক্ষাধিক অবৈধ বাংলাদেশিদের দ্রুত ফিরিয়ে না আনলে বাংলাদেশের নাগরিকদের ভিসার ওপর কড়াকড়ি আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন। ভূমধ্যসাগরে অভিবাসন সংকটের সমাধানে ইতালিকে অতিরিক্ত ১০০ মিলিয়ন ইউরো দেয়ার অঙ্গীকার করার সময় বাংলাদেশের জন্য এই সতর্কতা দেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জঁ ক্লদ জাঙ্কার।
Advertisement
সম্প্রতি ইতালির প্রধানমন্ত্রী পাওলো জেন্তিলোনিকে লেখা চিঠিতে জঁ ক্লদ জাঙ্কার বলেন, ‘ভূমধ্যসাগরে অবৈধ অভিবাসনের কারণে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে তা সমাধানে ইতালির সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য ব্রাসেলসে একটি বিশেষ যোগাযোগের প্রতিনিধিদল গঠন করা হয়েছে।’
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ডিঙি নৌকায় ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ৯৩ হাজারের বেশি অভিবাসী ইতালিতে প্রবেশ করেছেন। গত বছরের তুলনায় অবৈধ অভিবাসীর এই হার ছয় শতাংশের বেশি। এ অবৈধ অভিবাসীদের মধ্যে নাইজেরিয়া, বাংলাদেশ ও গায়ানার নাগরিকদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত আট হাজার ৪৩৬ জন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের ইতালি থেকে ফেরত পাঠাতে ভিসা প্রক্রিয়া কঠোর করার বিষয়টি জঁ ক্লদ জাঙ্কার তার চিঠিতে উল্লেখ করেছেন।
Advertisement
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অঙ্গ সংস্থা ইউরোপীয় কমিশন (ইসি) ২৮টি সদস্য দেশের ইউরোপীয় জোটটির দৈনন্দিন কাজ পরিচালনার পাশাপাশি আইনের প্রস্তাব, সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন এবং জোটের চুক্তি সমুন্নত রাখতে কাজ করে।
ইউরোপ থেকে অবৈধ বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে গত এক বছর ধরে বাংলাদেশকে তাগাদা দিচ্ছে ইইউ। অবৈধ অভিবাসীদের ফিরিয়ে আনতে গত বছর একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) বা মানসম্মত পরিচালনা পদ্ধতির খসড়া বাংলাদেশকে প্রস্তাব করে ইইউ।ওই কর্মপ্রক্রিয়া চলতি মাসের মধ্যে চূড়ান্ত করতে চাপ দিচ্ছে ইইউ।
এদিকে বাংলাদেশ অবৈধদের ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিলেও ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে তা করা সম্ভব নয় বলে মনে করে।
ইউরোপীয় কমিশনের পরিসংখ্যান দফতর ইউরোস্টেটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৮ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত আট বছরে ৯৩ হাজার ৪৩৫ জন বাংলাদেশি ইউরোপের দেশগুলোতে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে।
Advertisement
এমআরএম/এমএস