ইলেকট্রনিক ব্যবসায়িক শনাক্তকরণ নম্বর (ই-বিআইএন) বাধ্যতামূলক করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর ফলে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ই-বিআইএন ছাড়া ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না।
Advertisement
এছাড়া নিবন্ধন গ্রহণ প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ, দ্রুততর ও হয়রানিমুক্ত করার লক্ষ্যে অনলাইন নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এনবিআর এ সংক্রান্ত গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের পর ১১ ডিজিটের বিআইএন বাতিল হয়ে যাবে। তাই ৯ ডিজিটের ই-বিআইএন বাধ্যতামূলক করা হলো।
Advertisement
এনবিআর সূত্র জানায়, অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন প্রক্রিয়া চালু রাখার ফলে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে ই-বিআইএন ছাড়া ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না। অনলাইনে ৯ ডিজিটের ভ্যাট নিবন্ধন গ্রহণ কোনোভাবেই শুধু নতুন ভ্যাট আইন (মূল্য সংযোজন কর আইন ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২) এর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়। এটি ১৯৯১ আইনের আওতায় করদাতাদের উন্নত সেবা প্রদানের গতিকে ত্বরান্বিত করবে।
এছাড়া ব্যবসায় শনাক্তকরণ সংখ্যা নির্ধারণ, রিটার্ন সংখ্যা বৃদ্ধি, হয়রানিমুক্ত ও করদাতাবান্ধব প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করবে।
রাজস্ব আহরণে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও শৃঙ্খলা আনয়ন তথা রাজস্ব আহরণে ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার স্বার্থে ভ্যাট ব্যবস্থায় নিবন্ধন কার্যক্রমের ডিজিটালাইজেশন অপরিহার্য। তাই ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ অনলাইনভিত্তিক ভ্যাট ব্যবস্থায় নিবন্ধন কার্যক্রমের সূচনা হয়। বিদ্যমান সনাতনী ভ্যাট ব্যবস্থায় প্রায় সাড়ে ৮ লাখ প্রতিষ্ঠানের বিআইএন নম্বর রয়েছে বলে জানায় সূত্রটি।
কিন্তু প্রতি মাসে মাত্র ৩৭ হাজার করদাতা নিয়মিত রিটার্ন দেন। ফলে অনেক অস্তিত্বহীন নিবন্ধিত করদাতা যেমন রয়েছেন, তেমনি ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলমান থাকা সত্ত্বেও অনেক করদাতা নিয়মিত রিটার্ন দেন না বা বাইরে অবস্থান করছেন।
Advertisement
সার্বিকভাবে এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ, নিবন্ধন গ্রহণের প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ, দ্রুততর ও হয়রানিমুক্ত করার লক্ষ্যে মূলত অনলাইন নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু করেছে এনবিআর।
সূত্র জানায়, মূল্য সংযোজন কর আইন, ১৯৯১ এর ১৫ ধারা ও মূল্য সংযোজন কর বিধিমালা, ১৯৯১ এর ৯ বিধিতে করদাতাদের নিবন্ধন গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বিশেষ ৯ বিধিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বোর্ড নির্ধারিত পদ্ধতিতে অনলাইনে নিবন্ধনের আবেদন করা যাবে।
ফলে যারা অনলাইনে ৯ ডিজিটের নিবন্ধন নিয়েছেন তাদের নিবন্ধনগুলো কার্যকর ও অনলাইন নিবন্ধন ব্যবস্থা চলমান রাখা হবে।
এমএ/এসআর/আরআইপি