জাতীয়

মিসরের নিম্নমানের বিমান লিজ : ক্ষতি ৩০০ কোটি টাকা

মিসরের ইজিপ্ট এয়ার থেকে লিজে আনা দুটি বোয়িং উড়োজাহাজের কারণে বাংলাদেশ বিমানের প্রায় ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

Advertisement

এই উড়োজাহাজ দুটি লিজ নেয়ার পর থেকে ইঞ্জিন বিকল হওয়া, আবার ভাড়ায় আনা, সেগুলোর মেরামত এবং উড়োজাহাজের ভাড়াসহ সব মিলে এই টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে সংসদীয় সাব-কমিটির তদন্তে উঠে এসেছে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়। এ কমিটি এর আগে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য একটি সাব-কমিটি গঠন করেছিল।

কমিটির সভাপতি ফারুক খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী, কামরুল আশরাফ খান, মো. আফতাব উদ্দিন সরকার, রওশন আরা মান্নান, সাবিহা নাহার বেগম অংশ নেন।

Advertisement

মিসর এয়ার থেকে লিজে আনা দুটি বোয়িং উড়োজাহাজ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর গত মাসে সংসদীয় কমিটির সদস্য কামরুল আশরাফ খানের নেতৃত্বে চার সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ফারুক খান জাগো নিউজকে বলেন, মিসর এয়ার থেকে লিজে আনা বোয়িং উড়োজাহাজ দুটি ভালো নয়। এগুলোর ইঞ্জিন ঘন ঘন নষ্ট হয়। এতে ৩০০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে। নষ্ট হওয়া ইঞ্জিত মেরামতেও দুর্নীতি হয়েছে। আমরা অবহেলা ও অনিয়নের প্রমাণ পেয়েছি। বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে অধিকতর তদন্ত করে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে। আগস্ট মাসে এর প্রতিবেদন দেবে।

সাব-কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, পাঁচ বছরের চুক্তিতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে দুটি উড়োজাহাজ লিজ নেয় বিমান। এর একটি বিমানের বহরে যুক্ত হয় ২০১৪ সালের মার্চে এবং অন্যটি একই বছরের মে মাসে। ওই দুটি উড়োজাহাজের মধ্যে একটি কোনো না সময় বিকল হয়ে ছিল।

এক বছর ফ্লাইট পরিচালনার পর একটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। উড়োজাহাজটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকেই ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। দেড় বছরের মাথায় নষ্ট হয় বাকি ইঞ্জিনটিও। উড়োজাহাজটি সচল রাখতে ইজিপ্ট এয়ার থেকে আবারও ভাড়ায় আনা হয় আরেকটি ইঞ্জিন। গত ডিসেম্বরে নষ্ট হয়ে যায় ভাড়ায় আনা ওই ইঞ্জিনটিও।

Advertisement

এইচএস/আরআইপি