‘জয় বাংলা বাংলার জয়’, ‘ওরে নীল দরিয়া’, ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ গানের কিংবদন্তি গায়ক আবদুল জব্বার তিন মাস ধরে অসুস্থ। বর্তমানে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬২০ নম্বর কেবিনে চিকিৎসাধীন। দিন দিন তার শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি ঘটছে। কালজয়ী এই গায়কের দুটি কিডনিই বর্তমানে নষ্ট। আছে আরও অনেক সমস্যা।
Advertisement
উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত আবদুল জব্বারকে দেশের বাইরে নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন তার চিকিৎসক ও পরিবারের সদস্যরা। আবদুল জব্বারের ছোট ছেলে বাবু জব্বার জাগো নিউজকে বলেন, ‘গত দুদিন ধরেই বাবার শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি হয়েছে। তিনি এখন কাউকে ভালো করে চিনতে পারছেন না। ডাক্তার বলেছেন উন্নত চিকিৎসার জন্য বাবাকে দ্রুত দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন। নইলে তাকে বাঁচানো সম্ভব নয়। কিন্তু সেই সামর্থ্য আমাদের নেই। তাই অসহায়ভাবেই বাবার মৃত্যু দেখতে হবে হয়তো।’
আবেগতাড়িত হয়ে বাবু বলেন,‘যে পিতা এত স্নেহ, সম্মানে বেড়ে ওঠার পরিবেশ দিলেন সেই পিতার জন্য সন্তান হিসেবে কিছুই করতে পারছি না। চোখের সামনে দেখতে হচ্ছে বাবা কষ্ট পাচ্ছেন।’
আবদুল জব্বারের দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে গেছে। একটি কিডনি হলে তাকে বাঁচানো সম্ভব। এছাড়া তার প্রেসার একেবারেই নেমে যাচ্ছে, পায়ে পানি নেই। তিন মাস হাসপাতালে শুয়ে আছেন। পিঠের অনেক স্থানে ঘা হয়ে গেছে।
Advertisement
বাবু জব্বার বলেন, ‘প্রতিদিন ইনজেকশন দিতে হচ্ছে। অনেক টাকা যাচ্ছে। হাতের সবই প্রায় শেষ। এত টাকা কোথায় পাব? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দুই বছর আগে ২০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দিয়েছিলেন। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর হাসপাতালে দেখতে এসেছিলেন। তারা উন্নত চিকিৎসার জন্য সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা কোনো সাহায্য পাইনি। আমরা নিজেরাও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেষ্টা করছি। পারছি না।’
দেশ স্বাধীনের জন্য আবদুল জব্বার তার কণ্ঠে বিভিন্ন গান গেয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা জুগিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ জীবনে এসে তার পাশে তেমন কাউকে পাচ্ছেন না বলে জানান তার ছোট ছেলে বাবু জব্বার। অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, তার বাবাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক।
এনই/এলএ/জেডএ/জেআইএম
Advertisement