জাতীয়

জলাবদ্ধতা নিরসনে দুই প্রকল্প পাসে দ্রুত উদ্যোগ

রাজধানীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে পরিকল্পনা কমিশনে জমা থাকা দুটি প্রকল্প পাসের জন্য দ্রুত উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সচিবালয়ে ‘ঢাকা পানি সম্মেলন ২০১৭’ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

Advertisement

বুধবার বৃষ্টিতে প্রায় পুরো রাজধানী ডুবে যাওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি নিজেই ঢাকায় বসবাস করি। প্রতি ঘণ্টায় যদি ৪০ থেকে ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয় তাহলে সেটির (নিষ্কাশনের) ড্রেন সিটি কর্পোরেশনের আছে। এর অতিরিক্ত বৃষ্টি হলেই ড্রেনেজ ব্যবস্থার উপর অন্য রকম চাপ পড়ে। আর এবারকার চাপটা ছিল অন্যরকম। নদীতে যে পানি নিষ্কাশন করে দেব সে ব্যবস্থাও ছিল না, কারণ নদীর লেভেলও উপরে ছিল, বাঁধ ছিল। যদি নদী সংলগ্ন ড্রেন খুলে দেই তাহলে আরও ব্যাপক দুর্যোগের মধ্যে পড়ার আশঙ্কা ছিল। পানিটা নিষ্কাশন করতে হয়েছে পাম্পিং করে। এই অস্বাভাবিক বৃষ্টির জন্য আমাদের আসলেই প্রস্তুতি সেরকম ছিল না।’

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এখন আমাদের প্রস্তুতি আছে। ইতোমধ্যে প্লানিং কমিশনে পানি নিষ্কাশনে দুইটি প্রজেক্ট জমা আছে। আমরা তাড়াতাড়ি এই প্রজেক্টগুলো পাস করার ব্যবস্থা নেব। প্লানিং কমিশনও এই সমস্যাটা দেখছে। যত দ্রুত সম্ভব এ ব্যাপারটি ড্রিল করব।

এদিকে বুধবার ডিসি সম্মেলনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধিবেশন শেষে মন্ত্রী রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিয়ে সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমি প্রমিজ করতেছি, সামনের বছর কিন্তু আপনারা এসব (জলাবদ্ধতা) পরিস্থিতি আর দেখতে পাবেন না। মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘অনেকেই এটাকে (ওই বক্তব্যকে) অন্যরকমভাবে চিন্তা করছেন। এটা পলিটিক্যাল স্টেটমেন্ট কিনা। আমি পলিটিক্স করি সত্যি কথা, এটা তো অস্বীকার করা যাবে না। কিন্ত এর বাইরে আমি তো একজন প্রকৌশলীও। এ বিষয়ে এক্সপার্ট। কথাটা তো আমি না বুঝে বলিনি। এটিকে অন্যভাবে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। প্রস্তুতি আছে বলেই আগামী বছর এ ধরনের সমস্যা থাকবে না।’

Advertisement

ঢাকায় জলাবদ্ধতা আগামীতে হবে না বলে এর আগেও বলা হয়েছিল, কিন্তু এবারও তো এর পুনরাবৃত্তি হচ্ছে, এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ভবিষ্যতের উপর তো আমাদের হাত নাই। ওই পরিপ্রেক্ষিতে তখন কথা বলেছিলাম, যদি নরমাল পানি থাকত তাহলে এ ধরনের পরিস্থিতি হতো না। এটা (ভারী বৃষ্টি) প্রতি ১০ বছরে একবার রিপিট হয়। এবার এক্সট্রা পানির যে চাপ, যে চাপে সারা শহর বিধ্বস্ত হয়েছে। এই ধরনের বৃষ্টি সামনের বছর হলেও পানি থাকবে তবে এই ধরনের চাপ থাকবে না।’

পরিস্থিতি মোকাবেলায় কেন আগে থেকেই প্রস্তুতি নেয়া হয়নি, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘করতে পারিনি, হয়নি। আমরা এটার গুরুত্ব বুঝি নাই। কারণ আমাদের অতীতে এই ধরনের পরিস্থিতি কখনো হয় নাই। এবার হয়েছে, আমরা আরও সতর্ক হয়ে গেছি।’

ওআর/জেআইএম

Advertisement