বলুন তো কখন আমাদের হৃদয় দুলে ওঠে? প্রিয়জনের চোখে চোখ পড়লেই! আর তাইতো সুন্দর একজোড়া চোখ মানে অনেক না বলা কথার সমাহার। অনেক আনন্দ, অনেক বেদনার সাক্ষী আমাদের প্রিয় চোখজোড়া। সাজতে ভালোবাসেন সব নারীই। আর তাইতো চোখের সাজে যোগ হচ্ছে নিত্যনতুন মাত্রা। একটা সময় শুধু কাজলেই সমাপ্ত হতো চোখের সাজ। দিন বদলেছে। এখন চোখের সাজে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন প্রসাধনী। তেমনই একটি নাম হলো আইশ্যাডো।
Advertisement
চোখের ওপরে আইশ্যাডো, নিচে কাজল সবাই এভাবে দিয়েই অভ্যস্ত। চোখের নিচে যেখানে সাধারণত আমরা কাজল লাগাই; সেখানে আইশ্যাডো ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে চোখে একটা সফট লুক চলে আসবে। এ ছাড়া আইলাইনার লাগিয়ে ব্রাশ দিয়ে হাল্কাভাবে একটু স্মাশড করে দিতে পারেন। তাতেও একই জিনিস পেয়ে যাচ্ছেন। তবে সে ক্ষেত্রে আইশ্যাডো লাগানোর আর দরকার হবে না। এতে লুক ন্যাচারাল লাগার পাশাপাশি চোখটা একটু বড়ও দেখায়।
আইশ্যাডো যখনই লাগাবেন, সময় ও স্থান বিবেচনা করে লাগানো উচিত। দিনের বেলায় হলে অবশ্যই হাল্কা এবং রাতে গাঢ়। দিনের বেলায় ম্যাট লুকটি ভালো লাগে বেশি। জামার সঙ্গে হুবহু মিলিয়েই পরতে হবে, এমনটি নয়। বরং বিপরীত রং অথবা হাল্কা রঙের শেড লাগাতে পারেন।
লাল শাড়ির সঙ্গে হাল্কা বাদামি শ্যাডো ব্যবহার করা যেতে পারে সকালে। একই শাড়িতে রাতের বেলায় সেখানে কপার, কালো, লাল ও সোনালি ব্যবহার করা যেতে পারে। গোলাপি রঙের জামায় নীল, সিলভার, কালো ব্যবহার করতে পারি। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে একই রং চোখে লাগাতে চাইলে সেটা রাতে করাই শ্রেয়। এছাড়া রাতে ফলস আইল্যাশ, মাশকারা লাগাতে পারেন।
Advertisement
আইশ্যাডো ওঠানোর চোখের সাজে সবার মন ভোলানোর পালা শেষ। এবার পরিষ্কার করতে হবে যথাযথভাবে। চোখের মেকআপ ওঠানোর জন্য আলাদা ক্লিনজার পাওয়া যায়। সেটা না পাওয়া গেলে যেকোনো ভালো মেকআপ ক্লিনজার ব্যবহার করুন। তুলোয় লাগিয়ে খুব আস্তে করে ঘষে উঠিয়ে ফেলুন। চোখের চারপাশের টিস্যুগুলো খুব নাজুক। এ জন্য এ অংশের পরিচর্যাও নেয়া উচিত খুব যত্নের সঙ্গে।
এইচএন/আরআইপি