সাইনোসাইটিসের কারণে যন্ত্রণা পোহাতে হয় অনেককেই। সাইনোসাইটিস হলো এমন এক অবস্থা যখন আমাদের নাকের অংশের সাইনাস এ যন্ত্রণা হয়। সাইনাস হলো এমন এক গহবর যা মাথার হাড়ে থাকে। আমাদের আশেপাশের মানুষকে প্রায় সাইনোসাইটিসে ভুগতে দেখা যায়।
Advertisement
এক টেবিল চামচ মেথি এক গ্লাস পানিতে জ্বাল দিয়ে নিন যতক্ষণ না অর্ধেক হয়। প্রতিদিন ৩/৪ গ্লাস সেবন করলে সাইনোসাইটিসের সমস্যা অনেকটা কমে যাবে।
পেঁয়াজ এবং আদার গন্ধ শুঁকলেও অনেক উপকার পাওয়া যায়। এই দুটি উপাদানের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি গুণ আছে।
কাঁচা সবজির জুস সাইনোসাইটিসের প্রভাব কমানোর জন্য অনেক উপকারী। ৩০০মিলি. গাজরের জুস, ১০০মিলি. শশার জুস, ১০০মিলি. বিটের জুস এবং ২০০ মিলি. পালং শাকের জুস ভালোভাবে মিশিয়ে প্রতিদিন পান করুন।
Advertisement
যারা সাইনোসাইটিসে ভুগছেন তারা ভিটামিন-এ যুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। যেমন- আম, কুমড়ো, ডিমের হলুদ অংশ, টমেটো, পেঁপে, গাজর, দুধ, দই।
১০০ গ্রাম জিরা টেলে ২০০ গ্রাম ঘি এর সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন সেবন করুন। এটা সাইনোসাইটিস প্রতিরোধের অন্যতম উপায়। ১ টেবিল চামচ কালো জিরা একটা পাতলা কাপড়ে বেঁধে নিয়ে তার গন্ধ নিতে পারেন।
আদা অথবা দারুচিনির চা হালকা গরম অবস্থায় পান করুন। ঠান্ডা ও তৈলাক্ত জাতীয় খাবার অবশ্যই পরিহার করতে হবে।
ভিনেগার মিউকাস উৎপন্ন কমিয়ে আমাদেরকে সাইনোসাইটিস থেকে মুক্তি দান করে। এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে দুই চা চামচ ভিনেগার দিয়ে প্রতিদিন ৩ বার সেবন করতে হবে।
Advertisement
ব্যায়ামের মাধ্যমে সাইনোসাইটিসের প্রভাব কমিয়ে আনা যায়। ব্যায়াম করার ফলে শরীরে অ্যাড্রেনালিন বেড়ে যায়, যা বেড়ে যাওয়া সাইনাস টিস্যুকে কমিয়ে দেয়।
এইচএন/জেআইএম