দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের উত্তর শাখার সম্মেলন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় কলাবাগান মাঠে শুরু হবে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের উত্তর শাখার সম্মেলন।আগামী ৩০ মে শনিবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এর মাধ্যমে শাখা দুটিতে আসছে নতুন নেতৃত্ব। তবে সম্মেলনের দিনেই শাখা দুটির পরবর্তী কাণ্ডারী ঘোষণা করা হবে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে কিছু বলছেন না ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।এর আগে প্রায় পাঁচ বছর আগে ২০১০ সালের ২৭ জুলাই শাখা দুটির সম্মেলন হয়েছিল। এবার নতুন নেতৃত্বে দলের দুঃসময়ে পরীক্ষিত নেতাকর্মীদেরই আনা হবে বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। পূর্ববর্তী রেকর্ড বিশ্লেষণে দেখা যায়, সাধারণত সম্মেলনের দিনে পরবর্তী নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা করা হয় না। সর্বশেষ ২০১০ সালের ২৭ জুলাই সম্মেলন শাখা দুটির সম্মেলন হলেও ২৯ তারিখ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নেতৃত্ব ঘোষণা দেয়া হয়। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রে নতুন নেতৃত্ব ঘোষণার বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা না থাকায় এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ওপর অর্পিত ক্ষমতাবলে তারা সুবিধাজনক সময়ে নতুন নেতৃত্ব ঘোষণা করে থাকেন। ছাত্রলীগ সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, সিনিয়র নেতাদের পরামর্শ অনুযায়ী এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নতুন নেতৃত্ব একত্রে ঘোষণা করা হতে পারে। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সংগঠনটির জেলা শাখার মেয়াদ ১ বছর। তার পরও মেয়াদোত্তীর্ণের প্রায় চার বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে শাখা দুটির সম্মেলন।সম্প্রতি ছাত্রলীগে সদস্যদের সর্বোচ্চ বয়স নিয়ে নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলছেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নেতৃত্ব নির্বাচনে বয়সসীমা অনূর্ধ্ব ২৭ বছরই থাকবে। তবে এটি চূড়ান্ত নয়, পরে হাইকমান্ডের বিশেষ নির্দেশনায় বয়স দু-এক বছর বাড়ানো হতে পারে। ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম বলেন, এখনও বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। এ বিষয়ে রাতে সিদ্ধান্ত হবে। এআরএস/পিআর
Advertisement