ঝালকাঠির নলছিটিতে রাস্তা কেটে সাতটি পরিবারের চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বুধবার সকালে উপজেলার কাপড়কাঠি গ্রামের ভুক্তভোগী ওই সাত পরিবারের চলাচলের একমাত্র রাস্তা কেটে পার্শ্ববর্তী খালের সঙ্গে মিশিয়ে দেয় প্রতিপক্ষর। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে পরিবারগুলো।
Advertisement
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে কুলকাঠি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার ইউনুছ ফকিরের সঙ্গে একই এলাকার মোশারেফ হাওলাদার, হালিম ফকির ও পলাশ ফকিরের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে কুলকাঠি ইউনিয়ন পরিষদে একটি অভিযোগ দায়ের করেন মোশারেফ হাওলাদার।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সালিশ-মীমাংসার প্রক্রিয়া চলছিল। কিন্তু বুধবার সকালে হালিম ফকির দলবল নিয়ে ইউনুছ ফকিরের চলাচলের রাস্তাটি কেটে খালের সঙ্গে মিশিয়ে দেয়।
ভুক্তভোগী ইউপি সদস্য ইউনুছ ফকির জানান, কিছুদিন পূর্বে মোশারেফ হাওলাদার রাস্তার জমি তাদের দাবি করে ইউনিয়ন পরিষদে একটি অভিযোগ করেন। আগামী শনিবার এ বিষয়ে সালিশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বুধবার সকালে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হালিম ফকির প্রকাশ্যে আমাদের চলাচলের রাস্তাটি কেটে দিয়েছে। ওই সময় সন্ত্রাসীদের হাতে ধারালো অস্ত্র, লাটিসোটা ও রামদা থাকায় আমি ভয়ে বাঁধা দিতে যাইনি।
Advertisement
অভিযুক্ত হালিম ফকির জানান, রাস্তাটি আমাদের জমির ওপর দিয়ে গেছে। এ কারণে আমাদের পক্ষ থেকে মোশারেফ হাওলাদার ইউনিয়ন পরিষদে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পরপর তিন বার সময় আবেদন করে বিবাদী পক্ষ।বিবাদী পক্ষ জমির মালিকানার কোনো কাগজ দেখাতে পারেনি।
কুলকাঠি ইউনিয়নের দফাদার মো. চন্নু হাওলাদার জানান, যে সড়কটি কাটা হয়েছে সেটি ইউনিয়ন পরিষদের একটি সংযোগ সড়ক। চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি হিসেবে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাওয়া পাইনি।
কুলকাঠির ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এইচএম আখতারুজ্জামান বাচ্চু বলেন, কিছুদিন পূর্বে ওই বিরোধীয় জমি নিয়ে একটি পক্ষ ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়ের করে। আগামী শানিবার এ ব্যাপারে সালিশ বৈঠকের কথা ছিল।
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম সুলতান মাহমুদ বলেন, রাস্তা কাটার ব্যাপারে কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Advertisement
আতিকুর রহমান/এফএ/পিআর