জাতীয়

লাইসেন্সের দাবি জানিয়েছে ডেসটিনি

বিতর্কিত বহুস্তর বিপণন পদ্ধতির (এমএলএম) পদ্ধতিতে ব্যবসা করার জন্য সরকারের কাছে লাইসেন্সের দাবি জানিয়েছে ডেসটিনি। সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের কিছু পরিবেশক এ দাবি জানান।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ডেসটিনির পরিবেশক শারমিন আক্তার স্বর্ণা বলেন, দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর রুটি-রুজির ব্যবস্থা করেছে ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড, যার রূপকার রফিকুল আমীন। এরপর ৩৫টি প্রতিষ্ঠান মিলে হয়েছে ডেসটিনি গ্রুপ। গ্রুপের অন্যতম প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি। আট লাখ ৫০ হাজার সদস্য বা শেয়ার হোল্ডার নিয়ে গঠিত এই সোসাইটি। এতে বাইরের কোনো আমানতকারী নেই।লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, স্বচ্ছতার সঙ্গে পরিচালিত হয়ে আসছিল বলেই কোনো সদস্য ডেসটিনির বিরুদ্ধে কোনো মামলা করেননি এবং গ্রাহকেরা বুঝে-শুনেই ডেসটিনিতে বিনিয়োগ করেন। ডেসটিনির কোনো ব্যাংক ঋণ নেই। আয়কর ও মূল্য সংযোজন কর নিয়েও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কোনো অভিযোগ নেই। ডেসটিনির সম্পত্তির বাজারমূল্য প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা। অথচ এই সম্পত্তি এখন ধ্বংস ও লুট হয়ে যাচ্ছে।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- ফেরদৌসি হক, নাসরিন আজাদ, ফারিয়া মাহবুব ও ফিরোজ আলম। সংবাদ সম্মেলন পরিচালনা করেন ডেসটিনি ডিস্ট্রিবিউটর ফোরামের মহাসচিব রাজীব মিত্র প্রমুখ।উল্লেখ্য, ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশীদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনসহ ডেসটিনির পরিচালকদের বিরুদ্ধে প্রায় চার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের মামলা রয়েছে। এছাড়া আদালতের নির্দেশে বর্তমানে ডেসটিনির সব সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক (রিসিভার) ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশ।

Advertisement