সৌদি জোটের দেয়া কাতারের ১৮ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের নতুন তালিকা হতাশাজনক এবং বিস্ময়ের বলে উল্লেখ করেছে দোহা। কাতারের জনসংযোগ পরিচালক শেখ সাইফ বিন আগমেদ আল থানি বুধবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। খবর আল জাজিরার।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, আরববিশ্বের চারটি দেশ নতুনভাবে ১৮ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলেছে। এই কালো তালিকা একেবারে হতাশাজনক। অবরোধ আরোপকারী দেশগুলো কাতারের বিরুদ্ধে তাদের কার্যক্রম এখনও অব্যাহত রেখেছে; এটা সত্যিই বিস্ময়ের।
কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের পর অান্তর্জাতিক চাপের মধ্যেই ওই ১৮ ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলল সৌদি অারব, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন।
নয়টি প্রতিষ্ঠান ও নয়জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ তোলার আগে গত মাসে ৫৯ ব্যক্তি ও ১২ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ করেছিল সৌদি জোট।
Advertisement
শেখ সাইফ বলেন, এই তালিকা প্রমাণ করে যে, অবরোধ আরোপকারী দেশগুলো জঙ্গি বিরোধী লড়াইয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়। অথচ জঙ্গি সম্পৃক্ত সকলের বিচার করেছে কাতার।
তিনি আরও বলেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাদের দেশে জঙ্গি সম্পৃক্তদের তালিকা করতে সময় নষ্ট না করে, পারলে নিজেদের দেশে জঙ্গি দমনে তৎপর হন। কাজে দেবে। আর কাতার যে জঙ্গি বিরোধী লড়াই করছে, সেটা সবাই জানে।
প্রসঙ্গত, ইরানের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা, মিসরের নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুড ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসসহ আল-কায়েদা ও বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনকে সমর্থন, অর্থায়ন ও সহায়তার অভিযোগে গত ৫ জুন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি জোট।
কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের পর কাতারের সঙ্গে সব ধরনের ফ্লাইট বাতিল করে আকাশ, সমুদ্র ও স্থলপথ বন্ধ করে দেয় সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মিসর। মাত্র ১৪ দিনের সময় বেঁধে দিয়ে এই চার দেশ থেকে কাতারি নাগরিকদের নিজ দেশে ফেরত যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। একই সময়ের মধ্যে কাতার থেকে নিজেদের দেশের নাগরিকদের ফিরে আসার নির্দেশও আসে।
Advertisement
গত ২২ জুন সংকট নিরসনে কাতারের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা বন্ধ করাসহ ১৩টি শর্ত দিয়ে দোহাকে ১০ দিনের আল্টিমেটাম দেয় সৌদি জোট। তবে শর্ত মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে দোহা। পরে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে আবারও শর্ত শিথিল করে ছয়টি মূলনীতি জুড়ে দেয়া হয় কাতারকে। সেসবও মানতে অস্বীকৃতি জানায় কাতার।
কেএ/আরআইপি