আন্তর্জাতিক

অাত্মঘাতী গাড়ি পিষে ৫০ জনকে বাঁচাল সেনাবাহিনীর ট্যাংক

কয়েকদিন আগে অদ্ভুত এক ঘটনা ঘটেছে মিসরের উত্তর সিনাইয়ে। সেনাবাহিনীর চেকপোস্টে অাটকে আছে বেশ কয়েকটি গাড়ি। সবার পেছনে সেনাবাহিনীর একটি ট্যাংক। আশপাশের গাড়িতে বেসামরিক লোকজন। এরই মধ্যে দ্রুতগতিতে ছুটে আসা আত্মঘাতী একটি গাড়ি সেনাবাহিনীর ট্যাংকের পেছনে এসে থামে।

Advertisement

ওই গাড়িটি কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীর এবং তাতে বিস্ফোরক থাকার আশঙ্কায় তৎক্ষণাৎ সেটি ট্যাংক দিয়ে পিষে দেয় সেনাসদস্যরা।

এতে দুমড়ে মুচড়ে যায় ওই গাড়ি। পরে গাড়িটিতে কিছুক্ষণ পর বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে দুই শিশুসহ সাতজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হন। এছাড়া পিষে দেয়া গাড়িতে চারজন জঙ্গি নিহত হয়। গাড়িতে প্রায় একশ কেজি বিস্ফোরক ছিল।

বিস্ফোরণে সাতজনের প্রাণহানি ঘটলেও বেঁচে গেছে ৫০ জনের বেশি মানুষ। ট্যাংক দিয়ে গাড়িটি পিষে দেয়া না হলে, আরও বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারত বলে জানিয়েছেন মিসরের সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র।

Advertisement

ওই মুখপাত্র বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর এ ধরনের বীরত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ড আমাদের প্রিয় সিনাই থেকে জঙ্গিদের চিহ্ন পর্যন্ত মুছে ফেলারই ইঙ্গিত দেয়। সশস্ত্র বাহিনী নিয়মিতভাবে নিজেদের উজাড় করে দিয়ে আমাদের সন্তানদের রক্ষা করে অাসছে। তারা আমাদের জাতি, রাষ্ট্রকে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আগলে রাখছে।

সিনাই উপত্যকায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে মিসরীয় বাহিনীর যুদ্ধ চলছে। সম্প্রতি মিসরের সেনাবাহিনী ৪০ জন আইএস জঙ্গিকে হত্যা করেছে।

দেশটির সেনাবাহিনীর একটি সূত্র বলছে, জঙ্গিদের আত্মঘাতী হামলার পরও সেনাবাহিনী পিছু না হটে সেখানে অবস্থান করছে। আইএস এখন মিসরের সেনাবাহিনী ও পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। গত ৭ জুলাই সিনাইয়ের একটি তল্লাশি চৌকিতে আইএস আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে সেনাবাহিনীর ২১ সদস্যকে হত্যা করে।

সূত্র : ডেইলি মেইল।

Advertisement

কেএ/এসআইএস/এমএস