জাতীয়

পানির নিচে ব্যাংকপাড়া

এ যেন নদীকেও হার মানিয়েছে। খোদ রাজধানীর বুকে নৌকা চালানোর মতো অবস্থা। পানির ঢেউয়েরও কমতি নেই। বলছি মতিঝিল ব্যাংকপাড়ার কথা। পুরো ব্যাংকপাড়া পানির নিচে। সরেজমিনে এমনটিই দেখা গেছে।

Advertisement

দেশে গত কয়েকদিন ধরেই টানা বর্ষণ হচ্ছে। এমনিতেই বৃষ্টি হলে নগরবাসীর দুর্ভোগের সীমা থাকে না। এর মধ্যে শুরু হয়েছে টানা বর্ষণ। এটি যেন নগরবাসীর জীবনে দুর্ভোগের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর ফুটপাতসহ অনেক এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী।

বুধবার সকাল থেকে ব্যাংকপাড়ার মানুষদের বেশ দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। রাস্তায় পানি জমায় অফিসগামীদের গাড়িতে ওঠা-নামার সময় পড়তে হয়েছে বিড়ম্বনায়। ফুটপাতে পানি জমায় জুতা খুলে কাপড় গুছিয়ে হাঁটতে দেখা গেছে পথচারীদের। আবার অনেকে রিকশায় পার হচ্ছেন রাস্তা। এছাড়া রিকশাও অর্ধেকের বেশি পানির নিচে ডুবে গেছে।

Advertisement

রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন, দৈনিক বাংলা, কমলাপুর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কমপক্ষে তিন থেকে চার ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে এসব এলাকার রাস্তা। খোদ বাংলাদেশ ব্যাংকের ভিতরে দুই ফুট পানি জমে গেছে। এ কারণে মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় পূর্বনির্ধারিত সময় থেকে ৪৫ মিনিট পিছিয়ে সোয়া ১২টায় নির্ধারণ করা হয়। আগে সাড়ে ১১টায় মুদ্রানীতি ঘোষণার কথা ছিল।

এদিকে ফুটপাতসহ বেশির ভাগ এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় অফিসগামী মানুষের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও পড়েন বিপাকে।

জলাবদ্ধতার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করে নাজমুল ইসলাম নামে এক ব্যাংকার জাগো নিউজকে বলেন, টানা বর্ষণে তলিয়ে গেছে ব্যাংকপাড়া। অপ্রতুল ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে দ্রুত পানি নামছে না। বর্ষাকালে এমনটা হওয়া স্বাভাবিক কিন্তু দ্রুত পানি নিষ্কাশন হলে এমন দুর্ভোগ হতো না।

সকাল ৮টায় মিরপুর থেকে বের হয়ে অফিস পৌঁছেছি সাড়ে ১০টায়। বৃষ্টিতে সমস্যা হবে কিন্তু এত ভোগান্তি মেনে নেয়া যায় না বলেও মন্তব্য করেনি তিনি।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, সামান্য বৃষ্টিতে নগরীতে পানি জমে যায়। আর দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ মানুষ।

এদিকে মতিঝিলের এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, দিন আনি দিন খাই। এ অবস্থায় আয় নেই কিন্তু পেট তো তা বুঝবে না। পরিবারের মুখে দুটো ভাত জোগাড়ে কষ্ট করতে হচ্ছে। কিন্তু জলাবদ্ধতায় সব শেষ হয়ে গেল।

এসআই/এএইচ/জেআইএম