জাতীয়

বৃষ্টিতে কর্মব্যস্ত নারীদের ভোগান্তি

নাজনীন সুলতানা মৌরি। কাজ করেন বেসরকারি একটি কোম্পানিতে। অফিস মতিঝিলে, থাকেন মিরপুরের শেওড়াপাড়ায়। গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে তার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হয়েছে।

Advertisement

মৌরিকে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে অফিসে যাতায়াতে। দীর্ঘ সময় রাস্তায় দাঁড়িয়েও সময়মতো যানবাহন পাননি তিনি।

বুধবার সকাল ১০টায় মৌরির সঙ্গে কথা হয় জাগো নিউজের এ প্রতিবেদকের। আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘আজও পৌনে এক ঘণ্টা বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি। কিন্তু বেশিরভাগ গাড়ির গেট বন্ধ থাকার কারণে উঠতে পারছি না। প্রচণ্ড গরমে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছিলাম ঠিকই, কিন্তু বৃষ্টি যে এতো ভোগাবে বুঝতে পারিনি।’

শুধু মৌরি নন, তার মতো রাজধানীর বেশিরভাগ কর্মজীবী নারীর অবস্থা একই। গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে সড়কে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে তাদের।

Advertisement

নারীদের জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক এবং পৃথক পরিবহন না থাকায় এমনিতেই প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হতে হয় তাদের। এর ওপর টানা বৃষ্টি তাদের জীবনযাত্রাকে নাজেহাল করে তুলেছে- এমনটি জানালেন একাধিক কর্মজীবী নারী।

বুধবার সকালে জাগো নিউজের সরেজমিন অনুসন্ধানে মিরপুর- ১০ নম্বর গোলচত্বর হয়ে সেনপাড়া, কাজীপাড়া, শেওয়াপাড়া ও আগারগাঁও পর্যন্ত কর্মজীবী নারীদের ভোগান্তির নানা চিত্র দেখা গেছে।

সন্তানকে স্কুল থেকে আনার জন্য বৃষ্টির মধ্যে রাস্তায় বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন হাজেরা বেগম। তিনি বলেন, ‘বাসগুলোতে ওঠার সুযোগ পাচ্ছি না। রিকশাও নেই। সিএনজির কথা নাই বললাম। সন্তানের কাছে হয়তো যথাসময়ে পৌঁছাতে পারব না। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে খুব কষ্ট করতে হচ্ছে। এ সড়কের খোঁড়াখুঁড়ির কাজ যেন শেষই হচ্ছে না। মানুষের ভোগান্তিরও শেষ নেই।’

মিরপুর ১৪, কাকলী, কল্যাণপুর ও পলিটেকনিক এলাকা ঘুরেও নারীদের ভোগান্তির একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।

Advertisement

বৃষ্টিতে নারীদের এত ভোগান্তিতে পড়তে হবে কেন- এমন প্রশ্ন তুলে একটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির কর্মকর্তা তৌহিদা সুজন জাগো নিউজকে বলেন, ‘অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কারণে সড়ক সরু হয়ে গেছে। বর্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে কর্তৃপক্ষ পরিকল্পিতভাবে কাজ শুরু করলে নারীদের এত ভোগান্তিতে পড়তে হতো না।’

বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে কর্মব্যস্ত নারীদের ভোগান্তির বিষয়টি মাথায় রেখে বিকল্প কোনো সমাধান খুঁজে বের করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তৌহিদা সুজন।

এমএম/জেডএ/এসআর/এমএআর/পিআর