জাতীয়

ঘর থেকে বের হওয়াই দুষ্কর

টানা বৃষ্টির কারণে যাত্রাবাড়ীর প্রায় প্রতিটি মহল্লার রাস্তায় জমে গেছে হাঁটু পানি। অবস্থা এমন যে ঘর থেকে রাস্তায় বের হওয়াই দুষ্কর। শুধু তাই নয় পানি ঢুকে গেছে অনেক নিচু বাড়ির ভেতরে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সেখানখান বাসিন্দারা।

Advertisement

সোমবার থেকেই রাজধানীজুড়ে নেমেছে শ্রাবণের বারিধারা। এ বৃষ্টির পানিতেই তলিয়ে গেছে যাত্রাবাড়ীর সিংহভাগ অঞ্চল। যাত্রাবাড়ী যেন রূপ নিয়েছে এক অথৈই নদীতে।

সকালে অফিস ও স্কুলগামীদের চরম বিড়ম্বনায় পড়তে দেখা গেছে। যারা ঘর থেকে বের হচ্ছেন তাদের সকলকেই হাঁটু সমান ময়লা পানি পাড়ি দিতে হচ্ছে। ফলে একান্ত বাধ্য না হলে কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।

আর ঘর থেকে বের হওয়ার উপায় না থাকায় যাত্রাবাড়ী বাস স্টেশনেও যাত্রীদের চাপ কম দেখা গেছে। সেই সঙ্গে পরিবহনের সংখ্যাও কম।

Advertisement

যাত্রাবাড়ী-মিরপুর রুটে চলাচল করা ১৫ নম্বর পরিবহনের কর্মী মো. শাহিন বলেন, পানির কারণে রাস্তায় অনেক গাড়ি আটকে রয়েছে। যে কারণে আজ গাড়ির সংখ্যা কম। আর মানুষ তো ঘর থেকেই বের হতে পারছে না, তাই যাত্রীর সংখ্যাও কম।

এই পরিবহন শ্রমিক আরও বলেন, বৃষ্টির পানিতে রাস্তার যে অবস্থা তাতে আমার মতো কেউ বাধ্য না হলে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। আমি গাড়ি সিরিয়াল করা ও শৃঙ্খলভাবে যাত্রী তোলার দায়িত্ব পালন করি, তাই আমার তো আর কাজে না আসার উপায় নেই।

উত্তর যাত্রাবাড়ীর মাদরাসা রোডে হাঁটু সমান পানি পাড়ি দেয়ার সময় দ্বীপশিখা স্কুলের ছাত্র শামিম বলেন, ‘স্কুল মিস করলে স্যারে বকেন। তাই সকালে বাসা থেকে ছাতা নিয়ে স্কুলে যাই। ময়লা পানির ভেতর দিয়েই হেঁটে হেঁটে স্কুলে যেতে হয়েছে। স্কুলে যাওয়ার পর একটি ক্লাস নিয়েই স্যারেরা ছুটি দিয়ে দিয়েছেন’।

এদিকে রাস্তায় পানি জমে যাওয়ায় অফিসের উদ্দেশে যারা ঘর থেকে বের হচ্ছেন তাদের অনেকটাই রিকশার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। এ সুযোগে রিকশাচালকরাও ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন। অনেকেই বাধ্য হয়ে বাড়তি ভাড়া দিয়ে রিকশায় যাতায়াত করছেন।

Advertisement

রিকশায় করে মতিঝিলের অফিসের উদ্দেশে রওনা হওয়া মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আগে যাত্রাবাড়ী থেকে মতিঝিল যেতে রিকশা ভাড়া নিত ৫০ থেকে ৬০ টাকা। আজ কোনো রিকশা ১৩০ টাকার নিচে যেতে রাজি হচ্ছে না। ফলে বাধ্য হয়ে ১৩০ টাকা ভাড়া দিয়ে যাচ্ছি।

এমএএস/জেডএ/পিআর