দেশজুড়ে

ইউপি চেয়ারম্যানকে করা হলো ছাত্রলীগের সভাপতি

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে একজন ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্বাচিত করায় জেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

Advertisement

মঙ্গলবার উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত ৬-নং ভাবরাশুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেফাতুর আলম মুসাকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

নাম না প্রকাশের শর্তে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা জানান, সভাপতি পদের জন্য ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান, শাওন আশরাফ বোরহানসহ বেশ কয়েক জন যোগ্য প্রার্থী ছিলেন। তবুও ওই ইউপি চেয়ারম্যানের বাবা মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল ইসলাম প্রভাব খাটিয়ে আগ্রহী অপর প্রার্থীদের ছাত্রলীগের সভাপতি পদের জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে বাধা দেন। ফলে ফরম সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়ে ওই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে বাদ পড়ে যান তারা।

এছাড়া দলীয় মনোননয়নে নির্বাচিত একজন ইউপি চেয়ারম্যানকে ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তারা।

Advertisement

উপজেলায় আওয়ামী লীগের রাজনীতি কুক্ষিগত, একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা ও নিজস্ব ক্ষমতার বলয় সৃষ্টির উদ্দেশ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাব খাটিয়ে তার চেয়ারম্যান ছেলেকে ছাত্রলীগের সভাপতি পদে নির্বাচিত করে সংগঠনের ইমেজকে প্রশ্ন বিদ্ধ করেছেন বলে অভিযোগ পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ নেতাদের। এতে বঞ্চিদের মধ্যে হতাশা নেমে এসেছে বলেও তারা জানান।

এ ব্যপারে ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি রেফাতুল ইসলাম মুসার সঙ্গে তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে নম্বরটি বন্ধ থাকায় কথা বলা যায়নি। মুকসুদপুরের উপজেলা ঈদগাঁহ মাঠে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল হামিদ।

সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও গোপালগঞ্জ -১ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান প্রধান অতিথি ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য উম্মে রাজিয়া কাজল, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলী খান প্রমুখ।

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহারিয়ার বিপ্লব। সম্মেলনে ইউপি চেয়ারম্যান রেফাতুল আলম মুসাকে সভাপতি ও মেহেদী হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে ৬১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠিত হয়।

Advertisement

এস এম হুমায়ূন কবীর/এএম/বিএ