জাতীয়

বাগেরহাটে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তা কারাগারে

বাগেরহাটে এক হোটেল ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে মোশাররফ হোসেন নামে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। সোমবার দুপুরে বাগেরহাট বিশেষ ট্রাইবুন্যাল আদালতের বিচারক মোহাম্মদ মহিদুজ্জামান ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।বাগেরহাটের জায়েদা আবাসিক হোটেলের মালিক জায়েদা বেগম বলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের রনবিজয়পুর এলাকায় ২০১০ সালের ৩১ মার্চ রাতে বাগেরহাট মডেল থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মোশাররফ হোসেন দু`জন ফোর্স নিয়ে আমার মালিকানাধীন জায়েদা আবাসিক হোটেলে আসেন। এখানে এসে তিনি এক লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। এই টাকা দিতে অস্বীকার করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ও হোসেন খাঁ নামে এক বোর্ডারকে ধরে থানায় নিয়ে যান। এরপর তিনি আমাদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠায়। আমি ও হোসেন খাঁ জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর ওই পুলিশ কর্মকর্তা আবার আমাদের সঙ্গে দেখা করে। তিনি আমাদের বিরুদ্ধে থানায় দায়ের করা মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য এক লাখ টাকা ঘুষ নেন। এর কিছুদিন পর তিনি আমার হোটেলে এসে আবার টাকা দাবি করেন। পরে আমি এই ঘটনাটি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করলে তারা কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় আমি ওই বছরের ২৭ এপ্রিল বিশেষ ট্রাইবুন্যাল আদালতে বিষয়টি অবহিত করে একটি লিখিত অভিযোগ করি।জায়েদার আইনজীবী নুর মোহম্মদ জানান, পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে ঘুষের বিষয়টি তদন্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের খুলনা জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. এনায়েত হোসেন ঘুষের বিষয়টি তদন্ত করে ঘুষ গ্রহণের সত্যতা না মেলায় ২০১১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তিনি আদালতে একটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির হবার নির্দেশ দেন।উল্লেখ্য, মোশাররফ হোসেন ওই সময়ে বাগেরহাট মডেল থানায় উপপরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি গোপালগঞ্জে কর্মরত রয়েছেন। তিনি খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার মহিষদিয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।

Advertisement