মার্কিন গোয়েন্দা বিমানকে গতিপথ পরিবর্তনে বাধ্য করেছে ক্ষেপণাস্ত্র সজ্জিত চীনা দুই যুদ্ধবিমান। পূর্ব চীন সাগরের ওপর দিয়ে মার্কিন বিমানটি উড়ে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটেছে বলে সোমবার পেন্টাগনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের।
Advertisement
নিয়মিত উড্ডয়নের অংশ হিসেবেই ওই এলাকা অতিক্রম করছিল ইপি-৩ এআরআইইএস গোয়েন্দা বিমান বলে দাবি করেছে মার্কিন নৌবাহিনী।
চীনা বিমান দু'টি মার্কিন গোয়েন্দা বিমানের খুব কাছে চলে গিয়েছিল। যে কোনো সময় তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হতে পারত। এ ঘটনা যখন ঘটে তখন মার্কিন বিমানটি আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় ছিল। তার পরেও চীনা যুদ্ধবিমানটি খুবই বিপজ্জনকভাবে মার্কিন বিমানের কাছে চলে যায়।
সংঘর্ষ এড়াতে মার্কিন বিমানটি সরে যায়। এর আগেও একাধিকবার দক্ষিণ ও পূর্ব চীন সাগরে মার্কিন ও চীনা সামরিক বিমানের মাঝে এমন ঘটনা ঘটেছে। গত মে মাসে এসইউ-৩০ মডেলের এমন দু’টি বিমান তাড়া করে মার্কিন পর্যবেক্ষণ বিমানকে।
Advertisement
চীনের দু’টি জে-১০ ফাইটার জেট মার্কিন নৌবাহিনীর ইপি-৩ বিমানকে ধাওয়া করে। চীনা যুদ্ধবিমানটি ইপি-৩ এর এত কাছে চলে আসে যে তার স্বয়ংক্রিয় অ্যালার্ম বেজে ওঠে। এই অ্যালার্ম তখনি বাজে যখন উড়ন্ত অবস্থায় বিমানের সঙ্গে কোনোকিছুর সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দেয়।
এ ব্যাপারে ইউএস নেভির ক্যাপ্টেন জেফ ডেভিস সাংবাদিকদের বলেন, চীনা সশস্ত্র বাহিনীর সচরাচর দেখানো আচরণের সঙ্গে বিপরীত ছিল এ ঘটনা।
ডেভিস জানান, অন্যান্য দেশের গোয়েন্দা বিমান নিয়মিত টহল দিয়ে থাকে আন্তর্জাতিক আকাশ সীমায়। শান্ত ও নিরাপদ আচরণ থাকে সেসময়। কিন্তু চীনা বিমান বাহিনীর বিমানগুলো আমাদের বিমানের সঙ্গে যে আচরণ করেছে তা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। সাধারণ ক্ষেত্রে কেউ এমন করে না।
মার্কিন বিমানবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মেট নাইট বার্তা সংস্থা এপিকে জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। গোয়েন্দা বিমানটির চালকরা জানিয়েছেন চীনা বিমান দুটির কর্মকাণ্ড একেবারে অনিরাপদ।
Advertisement
তবে বিপজ্জনকভাবে মার্কিন বিমানের কাছাকাছি যাওয়ার অভিযোগ চীন অস্বীকার করেছে। এর আগে গত মে মাসে পূর্ব চীন সাগর এলাকার আকাশে চীনের দুটি সুখোই এসইউ-৩০ জেট একটি মার্কিন পর্যবেক্ষণ বিমানকে ধাওয়া করেছিল।
কেএ/এমএস