আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য দেশে উৎপাদিত পশুই যথেষ্ট। এ বছর পশু আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই।
Advertisement
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, চলতি বছর কোরবানির জন্য ১ কোটি ১৫ লাখ ৫৭ হাজার পশু প্রস্তুত রয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, কোরবানিকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরই পশুর চাহিদা বাড়ছে। তাই এবারের কোরবানি উপলক্ষে পশুর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে। সচিব মাকসুদুল হাসান খান জানান, কোরবানির জন্য এ বছর ৪৪ লাখ ৫৭ হাজার গরু-মহিষ ও ৭১ লাখ ছাগল ও ভেড়া প্রস্তুত। গত বছর কোরবানির পশুর চাহিদা ছিল এক কোটি চার লাখ। এবার ১১ লাখ ৫৭ হাজার পশুর চাহিদা বেড়েছে। সচিব বলেন, গত বছর দেশে উৎপাদিত গবাদি পশু থেকে কোরবানির শতভাগ চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. আইনুল হক জাগো নিউজকে বলেন, এবার কোরবানির জন্য দেশে উৎপাদিত পশুই যথেষ্ট। এক প্রশ্নের জবাবে ডিজি বলেন, বর্তমানে ৩৩ লাখ গবাদিপশু মোটাতাজাকরণ কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে।
Advertisement
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাটে ভেটেরিনারি সেবা প্রদান সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক সভা মঙ্গলবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খান।
সভায় স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য, স্থানীয় সরকারসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয় এ বছর ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে ২৫টিসহ সারাদেশে আনুমানিক ১১০৫টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম গবাদিপশুর হাটে সেবা প্রদানের জন্য নিয়োজিত থাকবে।
এফএইচএস/এএইচ/ওআর/জেআইএম
Advertisement