পাবদা অত্যন্ত জনপ্রিয় ও সুস্বাদু মাছ। বর্তমানে পাবদা মাছ আমাদের দেশে প্রায় বিলুপ্তির পথে। তাই কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে পাবদা মাছ রক্ষা করা সম্ভব। জেনে নিন পাবদা চাষে করণীয় কী?
Advertisement
প্রশ্ন : পাবদা মাছ ইদানিং বাজারে কম পাওয়া যায়। এর কারণ কী? এই মাছ কোথায় থাকে?উত্তর : মাছটি হারিয়ে যাওয়া মাছের মধ্যে পড়ে। পাবদা আসলে নদীর মাছ। কিন্তু বর্ষার সময় যে সমস্ত নদীর সঙ্গে বড় বড় জলাশয়ের যোগাযোগ রয়েছে সেখানে এসেও পাবদা মাছ ঠাঁই নেয়। আমাদের দেশে কোনও কোনও বিলে ও বড় বড় জলাশয়ে এই মাছ পাওয়া যায়।
প্রশ্ন : পাবদা মাছ কোন ধরনের পুকুরে চাষ করা যায়?উত্তর : সাইপ্রিনাস ও মৃগেল মাছ বাদ দিয়ে অন্য পোনা মাছের সঙ্গে পাবদা মাছও পুকুরে চাষ করা হয়।
প্রশ্ন : পাবদা মাছের খাদ্য কী?উত্তর : পাবদা মাছ হচ্ছে মত্স্যভুক মাছ। এরা খায় ছোট চিংড়ি, শামুক, বিভিন্ন জলজ পোকা।
Advertisement
প্রশ্ন : পাবদা মাছের প্রজনন প্রক্রিয়া কেমন?উত্তর : পাবদা মাছের স্বাভাবিকভাবেই প্রজনন হয়। এই মাছ ২০ গ্রাম থেকে ৪০ গ্রাম হলেই এরা প্রজননক্ষম হয়ে পড়ে, তখন এরা বিল থেকে পাশের নদীতে জড়ো হয় এবং ডিম পাড়ে।
প্রশ্ন : একটি প্রজননক্ষম পাবদা মাছে কী পরিমাণ ডিম পাওয়া যায়?উত্তর : প্রতি ১০০ গ্রাম দেহের ওজনে এদের ৩৫,০০০-৪০,০০০ ডিম পাওয়া যেতে পারে।
প্রশ্ন : চারা তৈরি করার জন্য ধানি পোনার লালন কীভাবে করতে হবে?উত্তর : প্রথমে অন্যান্য মাছের ডিম পোনা থেকে ধানি করার জন্য যে পদ্ধতিতে আঁতুড় পুকুর তৈরি করা হয়, এখানেও সেই পদ্ধতিতে করা হয়। দেখা গেছে, ১৫-১৮ দিনের মধ্যে ডিম পোনা থেকে ধানি পোনায় রূপান্তরিত হয়।
প্রশ্ন : লালনের সময় পাবদার ধানি পোনা কী খায়?উত্তর : লালনের সময় পাবদার ধানি পোনা আঁতুড় পুকুরে উত্পাদিত জলজ প্রাণিকণা খেয়ে বড় হয়। ৩৫ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে ধানি চারা পোনায় রূপান্তরিত হয়। এই সময়ই মজুত পুকুরে স্থানান্তরিত করা হয়।
Advertisement
প্রশ্ন : পাবদা মাছের চাষের পদ্ধতি কী রকম হবে?উত্তর : পাবদা চাষের জন্য প্রথমেই পোনা মাছ চাষের পদ্ধতি অনুযায়ী পুকুর তৈরি করতে হবে। প্রতি বিঘা পুকুরে ২২৫-২৫০ কিলোগ্রাম গোবর সার প্রয়োগ করতে হবে। ৩-৪ দিনের মধ্যেই খাদ্যকণা উৎপন্ন হলে পাবদার চারাপোনা পুকুরে ছাড়তে হয়।
প্রশ্ন : এ চাষে খরচ এবং লাভ কত হতে পারে?উত্তর : পোনা মাছের সঙ্গে মিশ্র চাষে খরচ হয় প্রায় ৩,৫০০ টাকা। পাবদা মাছ থেকে আয় হয় ৪,২০০ টাকা। পোনা মাছ থেকে আয় হয় ৬,০০০ টাকা। মোট আয় হয় ১০ হাজার ২০০ টাকা। মোট লাভ ৬,৭০০ টাকা।
এসইউ/জেআইএম