ধর্ম

বিধবা ও তালাকপ্রাপ্তদের বিয়ের আকাঙ্ক্ষা প্রকাশে করণীয়

ইসলাম শান্তি ও সৌন্দয্যের ধর্ম। এ শান্তি ও সৌন্দর্য আল্লাহর পক্ষ থেকে সবার জন্য সমভাবে প্রযোজ্য। যার প্রমাণ রয়েছে কুরআন এবং হাদিসের পাতায় পাতায়।

Advertisement

শান্তি ও সুশৃঙ্খল দাম্পত্য জীবনের অনন্য মাধ্যম বিয়ে। বিয়ের আকাঙ্ক্ষা পোষণ করা অন্যায় কিছু নয়। তবে সে আকাঙ্ক্ষা যদি হয় কোনো তালাকপ্রাপ্ত বা বিধবাদের জন্য। এমন আকাঙ্ক্ষা প্রকাশে কোনো গোনাহ নেই। তবে শর্ত হলো বিধি মেনে চলতে হবে। যার সুস্পষ্ট বিধান রয়েছে কুরআনে। আল্লাহ তাআলা বলেন-আয়াতের অনুবাদ

আয়াত পরিচিতি ও নাজিলের কারণসুরা বাকারার ২৩৫ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা বিধবা বা তালাকে বায়েনা তথা তিন তালাকপ্রাপ্ত নারীকে বিয়ের ইচ্ছা পোষণকারীদের বিষয়ে নাজিল করেছেন। তাদেরকে ইশারা ইঙ্গিতে বিবাহের পয়গাম পাঠাতে কোনো গোনাহ নেই।

এ ক্ষেত্রে করণীয়বিধবা বা তিন তালাকপ্রাপ্ত নারীদের বিয়ের ক্ষেত্রে ইশারা ইঙ্গিতে পয়গাম পাঠানোতে কোনো গোনাহ নেই। তবে শর্ত হলো তাদেরকে পূর্ণ ইদ্দত পালনে সময় দেয়া। ইদ্দত পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত বিয়ের আশা পোষণকারীদের অপেক্ষা করা।

Advertisement

বিয়ের ইশারা-ইঙ্গিতের ধরনএভাবে পয়গাম পাঠানো যে, আমার বিয়ে করার ইচ্ছা রয়েছে; আমি একজন সৎ কর্মশীল মহিলার খোঁজ করছি; তোমার ব্যাপারে আমি আকাঙ্ক্ষা করি অথবা ওই নারীর অভিভাবককে বলা যে, পুনরায় তার বিয়ের ফয়সালার আগে অবশ্যই জানাবেন ইত্যাদি।

পড়ুন- সুরা বাকারার ২৩৪ নং আয়াত

তবে এমনটি করা যাবে নাবিধবা বা তালাকপ্রাপ্ত নারীদের মধ্যে যারা ইদ্দত পালনরত অবস্থায় আছে; তাদের কাছ থেকে গোপনে কোনো অঙ্গীকার গ্রহণ করা যাবে না। তাছাড়া যাদের স্বামী তাদের স্ত্রীদেরকে এক বা দুই তালাক দিয়েছে; তাদেরকে ইশারা বা ইঙ্গিতের মাধ্যমে বিয়ের প্রস্তাব দেয়াই যাবে না। কারণ, ইদ্দত শেষ হওয়া পর্যন্ত ওই নারীর ওপর স্বামীর অধিকার থাকে। হতে পারে স্বামী তাকে সংসার জীবনে ফিরিয়ে নিতে পারে।

পরিষেশে...আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কুরআনের যথাযথ বিধান পালনের তাওফিক দান করুন। আমিন।

Advertisement

এমএমএস/জেআইএম