চলতি বছরে হজযাত্রীদের জন্য মক্কা ও মদিনায় বাড়ি ভাড়ার কাজে এমপিদের সম্পৃক্ত না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এছাড়া হাজিদের সুবিধার্থে মক্কা ও মদিনার মারকাজিয়ার কাছাকাছি এবং সুবিধাজনক জায়গায় বাড়ি ভাড়া করতে বলেছে ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
Advertisement
সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির ২৮তম বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। বৈঠকে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুল জলিল জানান, হাজিদের বাড়ি ভাড়ার কাজ করার জন্য যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সৌদি আরব গেছে। কিন্তু কমিটি এখনও এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দেয়নি। বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত চুক্তি হওয়ার পর সংসদীয় কমিটি হাজিদের জন্য বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত বিষয়টি তদারকি করতে পারবেন।
এরপর কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুন বলেন, ‘বাড়ি ভাড়া করার আগে স্থায়ী কমিটিতে অবহিত করলে স্থায়ী কমিটির দু-তিনজন সদস্য যেতে পারতেন।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য এ কে এম এ আউয়াল (সাইদুর রহমান) ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘সরকারের কাজের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব। স্থায়ী কমিটিকে পাশ কাটিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।’
Advertisement
কমিটির সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, ‘এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে স্থায়ী কমিটির বাড়ি ভাড়া নির্ধারণে সৌদি আরব গেছে। কিন্তু এবার সভাপতিকেও এ বিষয়ে জানানো হয়নি, যা অনভিপ্রেত। চলতি বছর স্থায়ী কমিটিকে পাশ কাটিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এর মাধ্যমে স্থায়ী কমিটিতে হেয় করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইবাদত বন্দেগি করার সুবিধার্থে মক্কা ও মদিনার মারকাজিয়ার কাছাকাছি এবং সুবিধাজনক জায়গায় বাড়ি ভাড়া নিতে হবে।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা বলেন, ‘স্থায়ী কমিটির তত্ত্বাবধানে এর আগে সুন্দরভাবে বাড়ি ভাড়া করা হয়েছে। এতে কারও কোনো অভিযোগ ছিল না।’
তিনি হাজিদের আসা যাওয়ার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সুবিধাজনক জায়গায় অর্থাৎ নিকটবর্তী স্থানে ও পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধাসহ বাড়ি ভাড়া নিশ্চিত করার অনুরোধ করেন। একই সঙ্গে সংসদীয় কমিটির দু-একজন সদস্য যাতে বাড়ি ভাড়া সংক্রান্ত কাজ করতে সেখানে যেতে পারেন তারও প্রস্তাব দেন।
Advertisement
কমিটির সভাপতি বজলুল হক হারুন বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। এছাড়া কমিটির সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা, মো. আসলামুল হক, এ কে এম এ আউয়াল (সাইদুর রহমান), সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, মো. মকবুল হোসেন, মোহাম্মদ আমির হোসেন এবং দিলারা বেগম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
এইচএস/আরএস/পিআর