খুলনা জেলায় বোরো মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহে কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভ্যন্তরীণ বোরো ধান-চাল সংগ্রহ কমিটির শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তা প্রকৃত চালকল মালিকদের বরাদ্দ না দিয়ে এ দুর্নীতি করেছেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। এর ফলে খুলনা অঞ্চলের অধিকাংশ চালকল মালিকদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় মিলারদের মাধ্যমে ৭ হাজার ৮৬৬ মেট্রিক টন চাল এবং কৃষকদের কাছ থেকে ১ হাজার ৭৬ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত ১ মে থেকে এই সংগ্রহ অভিযান শুরু হলেও এখন পর্যন্ত সরবরাহকারী মিলগুলোর সাথে চুক্তি করতে পারেনি খাদ্য অধিদফতর। তবে খুলনা জেলার মহানগরীসহ ৯ উপজেলায় ৯৯ জন মিলার চুক্তি করার জন্য জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে। এর মধ্য খুলনা মহানগরীতে (সদর) ১৪ জন, পাইকগাছা উপজেলায় ৭ জন, দাকোপ উপজেলায় ৩ জন, ফুলতলা উপজেলায় ২১ জন, রূপসা উপজেলায় ১৪ জন, বটিয়াঘাটা উপজেলায় ২৩ জন, ডুমুরিয়া উপজেলায় ১৮ জন মিলারের সাথে চুক্তি করতে চলেছে খাদ্য বিভাগ।সূত্র জানায়, বরাবরের মতো এবারো চাল সরবরাহের জন্য খাদ্য বিভাগের সাথে চুক্তি করতে চলেছে নাম স্বর্বস্ব মিলাররা। যাদের সরবরাহ করার মতো সমর্থ নেই। নেই চাতাল, গুদাম, হলার, বয়লার। এরা কেবল উৎকোচের বিনিময়ে খাদ্য বিভাগের খুলনা জেলার কয়েকজন কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই চাল সরবাহের চুক্তি করতে যাচ্ছেন।তবে উৎকোচের বিনিময়ে কোনো মিলারের সাথে চুক্তি করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন খুলনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. সেলিমুল আজম। তিনি বলেন, প্রতিটি উপজেলায় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, এরিয়া পরিদর্শক এবং ক্ষেত্র বিশেষে সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিলগুলো পরিদর্শন করেছেন। যারা সরবরাহের অনুমতি পাবার যোগ্য তারাই সরবরাহের অনুমতি পাচ্ছেন।অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা মিলগুলো পরিদর্শন করেছেন তাদের কোনো গাফিলতি থাকলে তা যাচাই করা হবে। এজন্য তৃতীয় কোন মাধ্যম সেখানে কাজ করবে।আলমগীর হান্নান/এসএস/এমএস
Advertisement