রাজধানীর পান্থপথে হোটেল সুন্দরবনসহ আশেপাশের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সেনাবাহিনীর সহায়তা চেয়েছেন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের দুই মেয়র ও স্থানীয় সংসদ সদস্য। বুধবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তারা এ কথা জানান। সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, যে কোন ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে সেনাবাহিনীর সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এজন্য সেনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নিতে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসছেন বলে জানান তারা। এর আগে বুধবার সকাল পৌনে ১১ টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক। পরে দুপুর সাড়ে ১১টায় ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ফজলে নূর তাপস ঘটনাস্থলে পৌছান। এসময় সিটি কর্পোরেশনের অন্যান্য কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। তবে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (মেনটেন) শাকিল নেওয়াজ সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের ঘটনাস্থল দ্রুত পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানোর পরপরই তারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বৃষ্টি শুরু পরপর কারওয়ান বাজার মোড়ে সুন্দরবন হোটেলের পাশে নির্মাণাধীন একটি ভবনের পাইলিংয়ের জন্য খোঁড়া গর্তে ধসে পড়ে প্রায় ১২০ ফুট রাস্তা। বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক লাগোয়া ওই গলির মুখে বড় ধরনের এই ধসে সুন্দরবন হোটেল ঝুঁকির মধ্যে পড়ায় সেখান থেকে সবাইকে বের করে আনা হয়। ওই গলির রাস্তার একটি অংশ হোটেলের সীমানা প্রাচীর বিকট শব্দে নির্মাণাধীন ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড টুইন টাওয়ারের পাইলিংয়ের গর্তে ধসে পড়ে।গলির মুখের বিদ্যুতের খুঁটি, কয়েকটি গাছ, কয়েকটি টং দোকান ও রিকশা ভ্যানও ওই গর্তে পড়ে যায়। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। # হোটেল সুন্দরবনে সাঈদ খোকন তাপস আনিসুল এএসএস/এএইচ/এমএস
Advertisement