ধর্ম

যে আমলে বান্দার জন্য জান্নাত ওয়াজিব

জান্নাত মুমিন বান্দার শেষ ঠিকানা। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর প্রিয় উম্মতের জন্য জান্নাত লাভের ছোট ছোট ও সহজ আমলের বর্ণনা দিয়েছে হাদিসের পাতায় পাতায়। এমন অনেক আমল রয়েছে যে আমলে বান্দার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। তাহিয়্যাতুল অজুও তার একটি।

Advertisement

অজু করার পর মুমিন বান্দা যদি দুই রাকাআত তাহিয়্যাতুল অজু-এর নামাজ আদায় করে; এ নামাজের বিনিময়ে ওই বান্দার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়। এ গুরুত্বপূর্ণ ফজিলতের মাধ্যমেই মানুষ আল্লাহর রহমতে পরকালে কঠিন সময়ে নাজাত লাভ করে। কেননা প্রিয়নবি বলেছেন, ‘অল্প আমলই নাজাতের জন্য যথেষ্ট হবে।’

অজু করার পর দুই রাকাআত তাহিয়্যাতুল অজুও এ রকম স্বল্প ইবাদতে গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত লাভের অনন্য দৃষ্টান্ত। হাদিসে পাকে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাহিয়্যাতুল অজুর ফজিলত বর্ণনা করে বলেন-

হজরত উকবা ইবনে আমের রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেন, ‘যে কোনো মুসলিম ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করল। অতঃপর অন্তর দ্বারা সর্বাত্মকভাবে ও গুরুত্বসহকারে দাঁড়িয়ে দু রাকাআত নামাজ আদায় করল। তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে গেল। (মুসলিম)

Advertisement

উল্লেখিত হাদিস উম্মাতে মুহাম্মাদির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ সুসংবাদ। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর উম্মতকে এ রকম অসংখ্য ফজিলতপূর্ণ পথ দেখিয়েছেন। এগুলোর মধ্য থেকে ছোট ছোট আমলগুলো যারা সম্পাদন করবে; বিশ্বনবির ঘোষণা তাদের জন্য কার্যকর হয়ে যাবে।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে অজু করার পর তাহিয়্যাতুল অজু নামাজ পড়ার মাধ্যমে জান্নাত লাভের তাওফিক দান করুন। অজু ও নামাজের প্রতি অধিক মনোযোগী করুন। আমিন।

এমএমএস/এমএস

Advertisement