এবার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বুকে নাম উঠতে যাচ্ছে ৩১ বছর বয়সী বিড়ালের। অপারেশনের পর চিকিৎসকরা জানতে পারেন, বিড়ালটি ইতোমধ্যে পৃথিবীতে ৩১ বছর কাটিয়ে দিয়েছে। বিষয়টি জানার পর গিনেস বুকে নাম লেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিড়াল সাসা’র মালিক বেথ ও’নিল।
Advertisement
বয়সের ভারে সাসার নাকের বাইরে মাংস বেড়েছিল। নিজের পোষা বিড়ালের শেষ বয়সে এসে এরকম পরিণতি মানতে পারেননি বেথ। তিনশ’ পাউন্ড খরচ করে সাসার নাকের মাংস কেটে ফেলেন তিনি।
কিন্তু অপারেশন করাতে গিয়ে তিনি যখন জানতে পারেন, তাদের পোষা সাসার বয়স ৩১ বছর; তখন তিনি অবাক হয়ে যান। অবশ্য অবাক হওয়ার মত চিকিৎসক তেমন উদ্ভট কিছু জানাননি। কারণ ২৫ বছর আগে সাসাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন ৬৩ বছর বয়সী বেথ। ওইদিন এক ঘোড়া সাসাকে নাজেহাল করার সময় বিড়ালটিকে প্রাণে বাঁচান তিনি।
তার পর কেটে গেছে ২৫ বছর। সাসা যে সে সময় ছয় বছর বয়সী ছিল, বিষয়টি অজানা ছিল বেথের। অপারেশনের পর বিষয়টি জানতে পারার কথা জানিয়েছেন মিসেস ও’নিল। চিকিৎসক জানিয়েছেন, সম্ভবত সাসাই বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ বিড়াল।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, ‘কয়েকদিন আগে বাড়িতে থাকতেও আমরা বিষয়টি জানতাম না। গত ২৫ বছরে অবশ্য তার শরীরে তেমন কোনো রোগবালাই দেখা দেয়নি। এখন পর্যন্ত গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বুকে আবেদন করিনি। কিন্তু আমরা আবেদন করার কথা ভাবছি। তার জন্য এটা হবে আমাদের অত্যন্ত ভাল একটা কাজ।’
সাসার নাক নিয়ে তারা খুবই দুঃশ্চিন্তার মধ্য দিয়ে দিন পার করেছেন। এক সময় বাড়ির সবাই ভেবেছিলেন, তারা হয়তো সাসাকে হারাতে বসেছেন। কিন্তু অপারেশনের পর একেবারে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরতে পেরেছে সাসা। সেকারণে চিকিৎসককে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, আমি জানি তার বয়স আসলে কত হয়েছে। তবে সে যে ৩১ বছর বেঁচেছে সেটা হলফ করেই বলা যায়। কে জানে সে আসলে কত বছর বেঁচেছে।
বেথের বাড়িতে চারটি কুকুর ও সাসাসহ কয়েকটি বিড়াল রয়েছে। তবে সবগুলো প্রাণীর মধ্যে সাসাই তাদের কাছে সেরা। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বুকের একজন মুখপাত্র বলেন, সাসার ঘটনা শুনে তাদের ভাল লেগেছে। বেথকে তার বিড়ালের জন্য আবেদন করার ক্ষেত্রে শুভকামনা জানান তিনি।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, এখন অবশ্য বিড়ালে রেকর্ড কারও দখলে নেই। দুঃখের সঙ্গে জানাতে হচ্ছে যে, গত বছর সবচেয়ে বয়স্ক বিড়ালটি মারা গেছে। এটা অত্যন্ত চমৎকার একটা রেকর্ড। এরকম বিষয়ের জন্য গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ মুখিয়ে থাকে বলেও জানান তিনি।
সূত্র : ডেইলি মেইল।
কেএ/এসআইএস/পিআর