খেলাধুলা

বিপিএলে প্রতি ম্যাচে খেলবেন ৫ জন করে বিদেশি

বেশ আগে থেকেই আলোচনা চলছিল এটা নিয়ে। একাদশে চারজন না পাঁচজন বিদেশি ক্রিকেটার খেলানো হবে- এ নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছিল। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিকই কয়েকমাস আগে এই বিতর্ক উস্কে দিয়ে বলেছিলেন, আমাদের দেশে কোয়ালিটি ক্রিকেটারের সংখ্যা কম। এ কারণে তারা চিন্তা করছেন, একাদশে চারজন না পাঁচজন বিদেশি?

Advertisement

এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, পাঁচজন করে বিদেশি খেলানোর বিষয়ে। শেষ পর্যন্ত বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের পক্ষ থেকেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হলো এ বিষয়ে।

আজ কল্যাণপুরে দি একমি কার্যালয়ে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের এক সংবাদ সম্মেলনে সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানিয়ে দেন, প্রতিটি ম্যাচে একাদশে পাঁচজন করে বিদেশি খেলাতে হবে। বাকি ৬ জন থাকবেন দেশি ক্রিকেটার।

আইপিএল, সিপিএল, পিএসএল থেকে শুরু করে সবগুলো ফ্রাঞ্জাইজি লিগের নিয়মই হচ্ছে, চারজন করে বিদেশি ক্রিকেটার এবং সাতজন করে দেশি ক্রিকেটার খেলাতে হবে। বিপিএলের আগের চার আসরেও ছিল একই নিয়ম।

Advertisement

কিন্তু এবার একটি দল বেড়ে যাওয়ার কারণেই নাকি এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ১টি দল বেড়ে যাওয়ার কারণে এখন বিপিএলে মোট দলের সংখ্যা ৮টি। চারজন করে বিদেশি খেলানো হলে, বাকি আরও সাতজন করে আট দলে মোটামুটি মানের মানসম্পন্ন ক্রিকেটার প্রয়োজন ৫৬ জন।

এই মুহূর্তে বাংলাদেশে এতগুলো মানসম্পন্ন ক্রিকেটার নেই যে, তাদেরকে দিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক ক্রিকেট খেলানো যাবে এবং বিপিএলকে আকর্ষণীয় করে তোলা যাবে। ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বীতাই আসল। সেটাই যদি না থাকে তাহলে বিপিএলের আকর্ষণও হারিয়ে যাবে।

বিপিএলের আকর্ষণ বাড়ানো, প্রতিদ্বন্দ্বীতা বাড়ানো এবং সর্বোপরি ব্যবসায়িকভাবে লাভজনক করার জন্যই ৫জন করে বিদেশি খেলানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ইসমাইল হায়দার মল্লিক জানান, ‘বৈঠকে আটটি ফ্রাঞ্চাইজির মধ্যে ৫টিই চেয়েছে ৫জন করে বিদেশি ক্রিকেটার। বাকি ৩টি চেয়েছে চারজন করে। মেজরিটি ভিত্তিতে আমরা ৫জন বিদেশি খেলানোর পক্ষেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

Advertisement

এআরবি/আইএইচএস/জেআইএম