উড়তে উড়তে ফাইনালে আসার পর শিরোপাটাই যেন জিতে গিয়েছিল ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল। ভারতীয় মিডিয়াগুলো দেখলে মনে হচ্ছিল, ইংল্যান্ড কিছুই নয়। লর্ডসে ফাইনাল হবে। দু’দল ব্যাটিং-বোলিং করবে এবং শেষ পর্যন্ত শিরোপা জিতবে ভারতই।
Advertisement
কিন্তু বাস্তবতা যে ভিন্ন, মুদ্রারও যে আরেকটা পিঠ আছে সেটা দেখা বাকি ছিল ভারতীয় নারী ক্রিকেট দলের। সেই উল্টো পিঠটা দেখিয়ে দিল স্বাগতিক ইংল্যান্ডের নারী ক্রিকেটাররা।
ইতিহাস গড়ার অপেক্ষায় ছিল মিতালি রাজ, হারমনপ্রীত কাউররা; কিন্তু ফাইনালে ইংল্যান্ডের দেয়া ২২৯ রানের লক্ষ্য পার হতে পারেনি ভারত। থেমে গেলো ২১৯ রানে। ফলে ৯ রানের ব্যবধানে ভারতকে হারিয়ে নারী বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে নিল ইংল্যান্ড।
লর্ডসের বেলকনিতে কপিল দেব হতে চেয়েছিলেন মিতালি রাজ। কেউ কেউ ২০১১ বিশ্বকাপের চেয়ে এবারের নারী বিশ্বকাপটাকেই বেশি গুরুত্ববহ হিসেবে আখ্যা দিতে শুরু করেছিলেন। সেমিফাইনালে হারমনপ্রীত কাউরের অবিশ্বাস্য ১৭১ রানের ইনিংসই সবচেয়ে বেশি স্বপ্ন দেখিয়েছে ভারতকে।
Advertisement
ফাইনালেও হেসেছিল হারমনপ্রীতের ব্যাট। তবে খুব বেশি না। টেনেটুনে একটি হাফ সেঞ্চুরি পর্যন্ত। ২২৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইংলিশ বোলারদের সামনে শুরু থেকেই কোণঠাসা ভারত। কোনো রান না করার আগেই বিদায় নিলেন স্মৃতি মন্দানা। এরপর মিতালি রাজ ১৭ রান করে আউট।
ওপেনার পুনম রাউত আর হারমনপ্রীত কাউর মিলে একটা আশা জাগিয়েছিলেন। ৯৫ রানের জুটি গড়েছিলেন তারা দু’জন। ৮০ বলে ৫১ রান করে আউট হয়ে যান হারমনপ্রীত। ১১৫ বল খেলে সর্বোচ্চ ৮৬ রান করেন পুনম রাউত। এরপর ভেদা কৃষ্ণমুর্তি করেন ৩৫ রান। বাকি ব্যাটসম্যানরা ছিলেন শুধু আসা-যাওয়ার তালে।
শেষ পর্যন্ত ৪৮.৪ ওভারে ২১৯ রান তুলতেই অলআউট ভারত। পুরো ওভার খেলতে পারলে হয়তো জয় ধরাও দিতো ভারতের হাতে। ইংলিশ পেস বোলার আনিয়া স্রাবশোল একাই নেন ৬ উইকেট। মূলতঃ ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ওপর একাই ঝড় বইয়ে দেন তিনি। ২ উইকেট নেন এ হার্টলি। দুটি রানআউট।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রান করে ইংল্যান্ড। সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন নাতালি স্ক্রাইভার। ৪৫ রান করেন অধিনায়ক সারা টেলর।
Advertisement
আইএইচএস/এমআরএম/এএইচ