অর্থনীতি

সাংবাদিকদের ছাড় দিতে রানারের প্রতি সাকিবের বিশেষ প্রস্তাব

বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বাইক কেনার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের ছাড় দেয়ার জন্য বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন। দেশের প্রথিতযশা অটোমোবাইলস ব্র্যান্ড রানারের কর্তাব্যক্তিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এখানে সাংবাদিক ভাই-বোনেরা আছেন, আপনাদের সবার জন্য রানার নিশ্চিতভাবে ডিসকাউন্ট ম্যানেজ করবে, যাতে সবাই রানারের বাইক ব্যবহার করতে পারেন। আমি রিকোয়েস্টটি করলাম, আমি সিওর আপনারা এই সুবিধাটা পাবেন।’

Advertisement

দেশের অন্যতম অটোমোবাইলস কোম্পানি রানার ও বাজাজের ব্র্যান্ড দূত হিসেবে চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। রোববার রাজধানীর রানারের প্রধান কার্যালয়ে এই চুক্তি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান, ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মল হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও মুকেশ শর্মাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সাকিবের প্রস্তাবের জবাবে পরে হাফিজুর রহমান খান বলেন, সাংবাদিকদের জন্য সবসময় ডিসকাউন্ট আছে। শুধু ডিসকাউন্ট না, সাংবাদিকদের জন্য কিস্তিতে বিক্রিরও ব্যবস্থা আছে। আর যদি আপনাদের (সাংবাদিক) অন্য কোনো দাবি থাকে তাহলে যোগাযোগ করলে আপনাদের চাহিদা আমরা সবসময় পূরণ করতে চেষ্টা করব।

সাকিব বলেন, রানার সম্পর্কে খুব বেশি কিছু বলার নেই। চার বছর ধরে আছি। দেশের জন্য বড় একটি প্রসপেক্টিভ এটা। দেশের বাইরেও প্রতিষ্ঠানটি এক্সপোর্ট করতে শুরু করেছে। আশা করি এটি দিন দিন আরও বাড়তে থাকবে। আমরা যেহেতু আমাদের দেশকে ভালোবাসি, চাইব যেন সবাই দেশের পণ্য ব্যবহার করি। আর যারা এ পণ্য ব্যবহার করেছেন আমি নিশ্চিত তাদের ভালো অভিজ্ঞতা হয়েছে।

Advertisement

তিনি বলেন, আমাদের দেশি পণ্য যদি বিদেশি মানের হয়, কেন আমরা সেটা ব্যবহার করব না। বিদেশি জিনিসের ভিড়ে আমাদের জিনিসের কোনো দামই নেই। কিন্তু রানার একটি গ্রুপ আছে, যা অনেক বিদেশি ব্র্যান্ডের ভেতরেও এক নম্বর অবস্থান ধরে রেখেছে। সাংবাদিকরা এটিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারেন।

তিনি বলেন, আশা করি পরের দুই বছর ভালো কিছু কাজ করতে পারব। রানার আরও ভালো ভালো স্টাইলিস্ট, ভালো ইঞ্জিন মোটরবাইক বাজারে আনতে পারবে।

তিনি বলেন, গত চার বছর রানারের সঙ্গে চুক্তি থাকলেও এ বছর থেকে বাজাজের সঙ্গেও চুক্তি হয়েছে।

রাজধানীতে বাইকের জন্য আলাদা কোনো লেনের দাবি জানাবেন কি না সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে সাবিক বলেন, আলাদা লেন থাকা উচিত। কিন্তু একটি রেডি সিটিতে সেখানে খুব বেশি কিছু পরিবর্তন করা যাবে কি না সেটা নিয়ে আমি সন্দিহান। এখন মোটরসাইকেলের আলাদা একটি লেনের খুব সম্ভাবনা দেখছি না। আমরা যেন নিজ নিজ দায়িত্ব ও নিরাপত্তা বজায় রেখে বাইক চালাতে পারি সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। ফুটপাত দিয়ে বাইক চালানো ঠিক নয়।

Advertisement

এ সময় অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফর নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীস্কৃতি জানিয়ে তিনি বলেন, এ বিষযে কথা না বলার জন্য বোর্ড থেকে নির্দেশনা রয়েছে।

এইচএস/বিএ/আরআইপি