মালয়েশিয়ার মালাক্কা প্রদেশে ব্যবসায়ী ও শ্রমিক নিয়োগকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহা. শহিদুল ইসলাম। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় মালাক্কার একটি হোটেলে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
Advertisement
সভায় মালাক্কা প্রদেশে কর্মরত শ্রমিক ও কমিউনিটি নেতাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রদূত বলেন, বর্তমানে ঢাকা ও কুয়ালালামপুরের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কূটনৈতিক দক্ষতার ফলশ্রুতিতে দুইদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের উন্মেষ ঘটেছে। আর এ কারণেই ‘জি-টুজি-প্লাস’ পদ্ধতিতে বৈধ পথে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক রফতানি শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ধাপে ধাপে এদেশে আরও শ্রমিক আসবে।
হাইকমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর টেলিফোন আলাপের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ১২ শতাধিক নিয়োগকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার ফলশ্রুতিতে প্রায় ১ লাখ বাংলাদেশি কর্মীরা সাময়িক ওয়ার্ক পারমিটের সুযোগ পেয়েছেন। শুধু তাই নয়, দেড় বছর ধরে চলছে রি-হিয়ারিং প্রোগ্রাম। এই প্রক্রিয়ায় প্রায় ৩ লাখ বাংলাদেশি অবৈধ কর্মী বৈধ হওয়ার জন্য নিবন্ধিত হয়েছেন এবং কাজের সুযোগ পেয়েছেন। তা না হলে তাদের দেশে ফিরে আসতে হত।
সভায় প্রায় ৫০ জন নিয়োগকর্তাসহ উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার পলিটিক্যাল রইছ হাছান সারোয়ার, পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার প্রথম সচিব মো. মশিউর রহমান তালুকদার। দূতাবাসের পাসপোর্ট শাখার অফিস সহকারী মো. আরিফুল ইসলাম, মালয়েশিয়াস্থ জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. নূরুল ইসলাম চৌধুরী।
Advertisement
এছাড়া মতবিনিময় শেষে দুইদিনব্যাপী কনস্যুলার সেবা মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও পাসপোর্ট বিতরণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রদূত।
এমআরএম