জেরুজালেমের পবিত্র স্থানে ইসরায়েলি নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি বিক্ষোভে রক্তাক্ত সহিংসতায় অন্তত ছয়জনের প্রাণহানি ঘটেছে। চলতি বছরে ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি সহিংসতায় সবচেয়ে বড় প্রাণহানির ঘটনা এটি।
Advertisement
বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, পবিত্র আল-আকসা মসজিদের প্রবেশপথে মেটাল ডিটেক্টর বসানোর প্রতিবাদে শুক্রবার ফিলিস্তিনি নাগরিকদের বিক্ষোভে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি, টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেটে তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয়। এর কয়েকঘণ্টা পরে ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইহুদি বসতিতে ছুরিকাঘাতে তিন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।
এদিকে আল-আকসা মসজিদের প্রবেশ পথে বসানো মেটাল ডিটেক্টর প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক স্থগিতের নির্দেশ দিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি তিনি; তবে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সম্পর্ক পারস্পরিক নিরাপত্তা সহযোগিতার মধ্যেই সীমিত।
টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে মাহমুদ আব্বাস বলেন, ‘আল-আকসা মসজিদে প্রবেশে আরোপিত পদক্ষেপ বাতিল না করা পর্যন্ত আমি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক স্থগিতের ঘোষণা দিচ্ছি।’
Advertisement
ইসরায়েলি গণমাধ্যম বলছে, ছুরিকাঘাতে তিন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। এছাড়া পশ্চিম তীরের নেভে সাফে আরো একজন নারী আহত হয়েছেন। নিহত তিনজন একই পরিবারের সদস্য ছিলেন। এদের মধ্যে ৬০ ও ৪০ বছরের দুজন পুরুষ এবং একজন নারী (৬০) রয়েছেন।
আহত নারীকে (৬৮) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার ঘাড়ে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ইসরায়েল রেডিও বলছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় পারিবারিক খাবারের আয়োজন করেছিলেন তারা। পরিবারের সব সদস্যরা বসেছিলেন। এ সময় হঠাৎ ওই হামলার ঘটনা ঘটে। ইসরায়েলি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত একটি ছবিতে দেখা যায়, রক্তে লাল হয়ে গেছে রান্নাঘরের মেঝে।
অন্ধকারের মধ্যে ১৯ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনি তরুণ ওই বাড়িতে ঢুকে হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও গণমাধ্যম। পশ্চিম তীরের রামাল্লার খোবার গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন ওই হামলাকারী। পরে আইন-শৃঙ্খলবাহিনীর গুলিতে হামলাকারী তরুণ আহত হয়। তবে প্রাথমিকভাবে তার অবস্থা সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা বলছে, আল-আকসা মসজিদে বিধি-নিষেধে ইসরায়েলি পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে মিসর, তুরস্ক, কাতার, সৌদি আরব ও লেবানন।
Advertisement
এসআইএস/জেআইএম