সারা বিশ্ব থেকে মুসলমানগণ পবিত্র হজ পালনে মক্কা এবং মদিনায় একত্রিত হয়। হজের দিনগুলোতে মক্কা-মদিনায় ব্যাপক ভিড় থাকে। সেখানে সারা বিশ্বের মানুষগুলো ছোট ছোট কাফেলায় বিভক্ত হয়ে হজ সম্পন্ন করে থাকে।
Advertisement
তাদের নিরাপত্তার জন্য সৌদি হজ কর্তৃপক্ষ এবং প্রত্যেক হাজির দেশ ও হজ কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে। যা মেনে চলা প্রত্যেক হাজির একান্ত প্রয়োজন। মক্কা এবং মদিনায় অবস্থানকালীন সময়ে প্রত্যেক হাজি যে কাজগুলোর প্রতি যত্নবান হবেন তা তুলে ধরা হলো-
>> কোনো ভাবেই লিখিত অনুমতি ছাড়া কোনো হজযাত্রী তাদের আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে অবস্থান করবে না। অনুমতি ছাড়া কাফেলার বাহিরে তাদের থাকার নিয়ম নেই।
>> হজ যাত্রীই তাদের থাকার নির্ধারিত হোটেল বা বাড়িতে রান্না এবং কাপড় ইস্ত্রি করবে না।
Advertisement
>> মক্কা অথবা মদিনায় পৌঁছার পর মোয়াল্লেম অফিস থেকে সরবরাহকৃত কার্ড সবসময় নিজেদের সঙ্গে রাখতে হবে। কারণ ওই কার্ডেই মোয়াল্লেম অফিসের নম্বরসহ প্রয়োজনীয় তথ্য থাকে।
>> হজ আফিস থেকে সরবরাহ করা বাংলাদেশের পতাকাখচিত ছবিসহ আইডি কার্ড, হাতে লাগানোর কব্জি বেল্ট সবসময় সঙ্গে রাখতে হবে।
>> যদি কোনো হজযাত্রী নির্ধারিত হোটেল/বাড়ি/তাবু থেকে হারিয়ে যায় তবে এ কার্ডই তাকে বাংলাদেশ হজ অফিসে পৌঁছাতে সহায়তা করবে।
>> হোটেল/বাড়ি থেকে বাইরে যাওয়ার সময় একা একা না যাওয়াই উত্তম। সব সময় দলবদ্ধভাবে চলাফেরা করার চেষ্টা করা।
Advertisement
>> বাইতুল্লায় তাওয়াফ, সাফা-মারওয়ায় সাঈ এবং শয়তানেক পাথর মারার সময় প্রয়োজন অতিরিক্ত মাল-সামানা ও টাকা সঙ্গে না নেয়া।
>> হজের সফরে সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা।
>> খালি পায়ে হাঁটা থেকে বিরত থাকা। কারণ এতে পায়ে ফোসকা পরতে পারে।
>> রোদে ছাতা ব্যবহার, প্রচুর পানি ও ফলের রস পান করুন।
>> ডাস্টবিন ছাড়া অন্য কোথাও ময়লা-আবর্জনা না ফেলা।ফেলবেন না।
>> শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করলে বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালিত ক্লিনিকে দ্রুত যোগাযোগ করা। কারণ সেখানে সার্বক্ষণিক চিকিৎসক নিয়োজিত থাকবে।
সুতরাং মক্কা এবং মদিনায় অবস্থানকালীন সময়ে কোনোভাবেই উল্লেখিত জিনিসগুলো ছাড়া বাইরে যাওয়া-আসা বা অবস্থান করা ঠিক নয়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহ উল্লেখিত বিষয়গুলোর প্রতি যথাযথ খেয়াল রাখার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম