‘কোরবানি ঈদের আগে জাতীয় সংলাপ অইব। ওই সংলাপে ড. কামাল হোসেন, জিএম কাদের, মেজর মান্নান, শেখ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ্, কর্নেল রশীদ মল্লিক, শহীদ আসাদের বড় ভাই হারুন আল রশিদ ও ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুরসহ অনেক নেতা বক্তৃতা দিব। ওই জাতীয় সংলাপে মতামত দিতে আপনার নাম আর মোবাইল নম্বর লেখাইয়া যান। তারিখ নির্দিষ্ট হইলে আপনারে ডাকব।’
Advertisement
রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি পুলিশ কন্ট্রোল রুমের অদূরে আড়ং ভবনের সামনে চেয়ার টেবিল পেতে বসে তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা নির্বিশেষে সকলকে লক্ষ্য করে প্রায় এক নিঃশ্বাসে গড়গড় করে এ কথাগুলো বলছিলেন ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ দুলাল মিয়া। দশজনকে ডাকলে একজন হয়তো দাঁড়িয়ে এগিয়ে দেয়া লিফলেটটা নিয়ে চলে যাচ্ছিলেন।
বৃদ্ধ যে টেবিলটিতে বসে ছিলেন সেই টেবিলের নিচে ও টেবিলের ওপরে ওভারব্রিজের লোহায় ঝুলিয়ে রাখা ব্যানার দুটি সকলের দৃষ্টি আর্কষণ করছিল। উভয় ব্যানারে লেখা রয়েছে ‘এখানে গুরত্বপূর্ণ মৌলিক ইস্যুতে অনুষ্ঠিতব্য নাগরিক সংলাপে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী ব্যক্তিদের নাম তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে। অনুগ্রহ করে নাম নিবন্ধিত করুন। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া।’
বৃদ্ধের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ড.কামাল হোসেন ও সদস্য সচিব আ ব ম মোস্তফা আমীন। বৃদ্ধ যেখানে বসে নাম লেখাতে আহ্বান করছিলেন তার কয়েক গজ দূরেই বাড়ি-১ (দোতলা), সড়ক-২, ধানমন্ডির বাড়িটি সদস্য সচিবের অফিস। তিনি জানান, গত বেশ কিছুদিন ধরে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার ব্যানারে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে নাম অর্ন্তভুক্তি করার কাজ চলছে।
Advertisement
দুলাল মিয়া জানালেন, ওই সংলাপে আমন্ত্রিত অতিথিরা দেশ ও জাতির উন্নয়নে কী করণীয় সে সম্পর্কে মূল্যবান মতামত দিতে পারবেন। এ পর্যন্ত কতজন নিবন্ধন করেছেন জানতে চাইলে দুলাল মিয়া জানান, বিভিন্ন স্থানে নিবন্ধন চলছে, তার এখানে হাজার তিনেক মানুষ নাম লিখিয়েছেন।
তবে এভাবে জাতি উদ্ধারে নিয়োজিত হতে দেখে অনেকেই টিপ্পনি কেটে বলেন, এতো বড় বড় নেতা, ইলেকশন হইলে দেখি জামানত থাকেনা।
এমইউ/ওআর/জেআইএম
Advertisement