অর্থনীতি

সপ্তাহজুড়ে কমেছে সূচক-লেনদেন

টানা দুই সপ্তাহ দেশের শেয়ারবাজারে মূল্য সূচক ও লেনদেন বাড়ার পর গত সপ্তাহে মূল্য সূচক ও লেনদেন উভয়ই কমেছে। গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের (১৬ থেকে ২০ জুলাই) মধ্যে চারদিনই মূল্য সূচক কমেছে।

Advertisement

সপ্তাহজুড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স কমেছে প্রায় এক পয়েন্ট। লেনদেন কমেছে প্রায় সাড়ে ১০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে ডিএসইএক্স বাড়ে প্রায় দেড় শতাংশ এবং লেনদেন সাত শতাংশের ওপরে ছিল।

লেনদেন ও সূচক কমার পাশাপাশি গত সপ্তাহে বাজার মূলধনের পরিমাণও কমেছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসই’র বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৯০ হাজার ১১২ কোটি টাকা। যা আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল তিন লাখ ৯১ হাজার ৮৭৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ ডিএসইতে বাজার মূলধন কমেছে এক হাজার ৭৬৭ কোটি টাকা।

এদিকে ডিএসই’র প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৫২ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৯০ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচক বেড়েছিল ৮৫ দশমিক ২১ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

Advertisement

ডিএসইএক্স’র পাশাপাশি কমেছে অপর দুটি মূল্য সূচকও। ডিএসই- ৩০ সূচক কমেছে ৯ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৪ শতাংশ। ডিএসই শরীহ সূচক কমেছে ১৩ দশমিক ৩০ পয়েন্ট বা ১ শতাংশ।

শেষ সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে পাঁচ হাজার ৭৯ কোটি ৫২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় পাঁচ হাজার ৬৬৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ গত সপ্তাহে মোট লেনদেন কমেছে ৫৮৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা বা ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ।

মোট লেনদেনের পাশাপাশি কমেছে দৈনিক গড় লেনদেনের পরিমাণও। গত সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন হয়েছে এক হাজার ১৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা। যা আগের সপ্তাহে ছিল এক হাজার ১৩৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ১১৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৩৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ১১৬টির দাম বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে ২০০টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ১৭টির দাম।

Advertisement

গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৯৩ দশমিক ৫৫ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। এছাড়া বাকি ২ দশমিক ৭১ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, ১ দশমিক ৮৫ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত এবং ১ দশমিক ৮৯ শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অংকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৪৯ কোটি ১৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের চার দশমিক ৯১ শতাংশ।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিজেন্ট টেক্সটাইলের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২০৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের চার দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। ১৭২ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বারাকা পাওয়ার।

লেনদেনে এরপর রয়েছে ফু-ওয়াং ফুড, কেয়া কসমেটিক, ডরিন পাওয়ার জেনারেশন, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি, প্রাইম ব্যাংক, সাইফ পাওয়ারটেক ও ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ।

এমএএস/এমএআর/জেআইএম