অর্থনীতি

ডিএসইতে ১৬ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন

টানা তিন কার্যদিবস দরপতনের পর সপ্তাহের পঞ্চম ও শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্য সূচক কিছুটা বেড়েছে।

Advertisement

তবে উভয় বাজারেই লেনদেনে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা দিয়েছে। প্রধান শেয়ারবাজার ডিএসইতে লেনদেন কমে ১৬ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে এসেছে।

বৃহস্পতিবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগেরদিনের তুলনায় বেড়েছে ৬ পয়েন্ট। আগের কার্যদিবসে এ সূচক কমেছিল ৪৩ পয়েন্ট। অপর বাজার সিএসইতে বৃহস্পতিবার সার্বিক মূল্য সূচক সিএসসিএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট। আগেরদিন এ সূচক কমেছিল ৭৮ পয়েন্ট।

এদিকে, বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ আগেরদিনের তুলনায় প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬৩৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আগেরদিন লেনদেন হয় ১ হাজার ৬৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৪৩২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।

Advertisement

এরআগে গত ২৮ জুন ডিএসইতে ৬২৮ কোটি ৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এরপর বৃহস্পতিবারের আগ পর্যন্ত ডিএসইতে আর ৭০০  কোটি টাকার নিচে লেনদেন হয়নি। বৃহস্পতিাবর ডিএসইতে ৬৩৬ কোটি টাকার লেনদেন হওয়ার মধ্য দিয়ে তা শেষ ১৬ কার্যদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন স্থান দখল করে নিয়েছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, বৃহস্পতিবার দিনভর ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ছিল বেশ অস্থির। কখনো বড় পতন আবার কখনো উত্থান হয়। দিনভর কয়েক দফা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় লেনদেন শেষ হয়।

এদিন লেনদেনের প্রথম ৫ মিনিটেই ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৪ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে লেনদেন শুরুর ১৩ মিনিট পরেই সূচক নিম্নমুখী হতে থাকে। টানা নিম্নমুখীতার কারণে বেলা ১১টায় ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৪ পয়েন্ট কমে যায়।

এরপর আবার ঊর্ধ্বমুখী হয় সূচক। বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু ২০ মিনিটের ব্যবধানে আবার ঋণাত্মক হয়ে পড়ে সূচক। দুপুর ১২টায় ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২ পয়েন্ট কমে যায়।

Advertisement

এরপর ১২টা ৭ মিনিট থেকে ১২টা ৩৪ মিনিট পর্যন্ত টানা ঊর্ধ্বমুখী থাকে সূচক। টানা ঊর্ধ্বমুখীতার কারণে দুপুর ১২টা ৩৪ মিনিটে ডিএসইএক্স আগেরদিনের তুলনায় ৩১ পয়েন্ট বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এ পর্যায়ে এসে আবারও নিম্নমুখী হতে থাকে সূচক। দুপুর ২টা ৭ মিনিটে ডিএসইএক্স আগেরদিনের তুলনায় আবারও ২ পয়েন্ট কমে যায়। তবে শেষ সময়র লেনদেনের মাধ্যমে কিছুটা ঊর্ধ্বমুখী থেকেই লেনদেন শেষ হয়। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগেরদিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৭৮২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

প্রধান মূল্য সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে ডিএসই-৩০ মূল্য সূচক। এ সূচকটি আগেরদিনের তুলনায় দশমিক ৫৪ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১২১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই শরীয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩১৩ পয়েন্টে।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ১১৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম আগেরদিনের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছ ১৫২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম।

টাকার অংকে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইফাদ অটোসের  শেয়ার। এদিন কোম্পানির ৩৪ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ২০ কোটি ১৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৫ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ডরিন পাওয়ার।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- প্রাইম ব্যাংক, কেয়া কসমেটিক, গ্রামীণফোন, এসপিসিএল, ইউনিক হোটেল, লংকা বাংলা ফাইন্যান্স এবং ফু ওয়াং ফুড।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসসিএক্স সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৮৪৩ পয়েন্টে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৪১ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। আগেরদিন লেনদেন ৭১ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

বৃহস্পতিবার সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৬৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ১২০টির দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে ১১৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৮টির দাম।

এমএএস/এসআর/জেআইএম