রূপচর্চা বিষয়টি এমন নয় যে আজ একটু যত্ন নিলাম, তারপর অনেকদিন কোনো ধরনের রূপচর্চা করলাম না! বরং রূপচর্চার বিষয়টি এমন যা একটি নিয়ম করে করতে হয়। সেই ধারাবাহিকতায় ঋতুর আসে পরিবর্তন। শীত, গ্রীষ্ম পেরিয়ে এখন বর্ষাকাল। এসময় ত্বকের যত্নে প্রয়োজন নিয়মিত রূপচর্চার। তবে তার জন্য বাড়তি তেমনকিছুরই দরকার নেই। হাতের কাছে থাকা টুকাটাক জিনিসপত্র দিয়েই চালিয়ে যেতে পারেন আপনার রূপচর্চার কাজ। চলুন তবে জেনে নেই-
Advertisement
মসুর ডাল পানি নিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন পেস্ট করে নিন। এর সঙ্গে এক চিমটে হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে নিন। সঙ্গে হাফ চা চামচ মধু ও হাফ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে এই মিশ্রণ মুখ এবং হাত-পায়ে লাগান। একটু শুকাতে দিন। শুকিয়ে গেলে ভেজা হাতে ম্যাসাজ করুন ভালো ভাবে। এরপর পর্যাপ্ত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবেই প্রতিদিন একবার করুন। পরপর সাতদিন করলেই ত্বকের ডেডসেল পরিষ্কার হয়ে ত্বক আগের থেকেও সুন্দর হয়ে উঠবে।
যদি আপনার ত্বকে র্যাশ বা মুখে ব্রণ থাকে তাহলে সাবধান এই মিশ্রণ জোরে ঘসা যাবে না। হাল্কা হাতে ম্যাসাজ করা যাবে। এরপর পর্যাপ্ত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন এক চা চামচ নিম পাতা বাটা, এক চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, এক চিমটে কর্পূর মিশিয়ে নিন। এই পেস্ট ব্রণের জায়গায় ভালোভাবে লাগান। চাইলে পুরো মুখে বা শরীরের যে অংশে লাগাতে পারেন বা ব্রণ আছে যে অংশে সেখানে লাগাতে পারেন। ঠিক সাতদিন পর পর লাগালেই ব্রণ র্যা শ সব কিছু ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু কম করে সাতদিন করতে হবে।
এ সময় চুলের ম্যারম্যারে ভাব কমিয়ে ফেলতে আপনি খুব সহজ একটি পদ্ধতি ব্যবহার করুন। প্রতিদিন বার বার চুল আঁচড়ান এবং গোসলের আগে অবশ্যই চুল সোজা দিক উল্টা দিক করে আঁচড়ান। এভাবে চুলে ভলিয়ম থাকবে চুল ম্যারম্যারে থাকবে না। সেম্পু করার পর পর ঘরোয়া কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
Advertisement
শ্যাম্পু করার এক ঘণ্টা আগে মধু ১ চামচ এবং অলিভ ওয়েল এক চা চামচ, একটা ডিম ভালো করে মিশিয়ে এই মিশ্রণ ভালো ভাবে লাগান। চুল এক ঘণ্টা আটকে রাখুন। এরপর মাইল্ড সেম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। আলাদা করে কন্ডিশনার ব্যবহার করা লাগবে না। মাত্র সাতদিনে এভাবে চুলের যত্ন নিন। চুলের ভলিয়ম আসবে চুল পড়াও কমে যাবে। চুল সুন্দর হতে এইটুকু যত্নই যথেষ্ট। মাঝে মাঝে পার্লারে গিয়ে স্পা করাতে ভুলবেন না। প্রতিটি স্পা ট্রিটমেন্ট আপনার চুলের সমস্যা সমাধানে সুন্দর কাজ করবে। সেই সঙ্গে হট ওয়েলে ম্যাসাজ নিতে ভুল করবেন না।
আলমন্ড ওয়েল ১ চা চামচ, অলিভ ওয়েল ১ চা চামচ মিশিয়ে একটু গরম করে একটা কটন দিয়ে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে নিন। এরপর পুরো চুলে লাগান। অয়েল লাগিয়ে ম্যাসাজ করতে ভুলবেন না। ম্যাসাজ করুন ধীরে ধীরে। ব্লাড সার্কুলেশন ভালো হলে চুলের সমস্যা অনেকাংশে কম থাকে। এরপর বাড়িতেই হট টাওয়াল দিয়ে স্টিম দিন। স্টিম দেয়া হয়ে গেলে আবার একবার ভালো করে চুল আঁচড়ে নিন। একঘণ্টা পরে শ্যাম্পু করে ফেলুন। চাইলে সারারাত রাখতে পারেন। তবে মুখে ব্রণ থাকলে এক ঘণ্টার বেশি তেল চুলে না রাখাই ভালো। শ্যাম্পু করে নিন রুট সেভ করে। তাই সব সময় গোড়ায় কন্ডিশনার না লাগালেই ভালো। এভাবেই একটু করে নিজের যত্ন নিন।
এইচএন/জেআইএম
Advertisement