থাইল্যান্ডে মানবপাচার মামলায় সেনাবাহিনীর একজন জেনারেল, দুইজন প্রাদেশিক রাজনীতিবিদ ও এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১০২ জন দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। বুধবার থাইল্যান্ডের একটি আদালত ওই মামলার রায় দেন। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।
Advertisement
গণকবরে ৩৬ জনের মরদেহ উদ্ধারের পর একশ তিন জনকে আসামি করে মানবপাচার, অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে ২০১৫ সালে মামলা করেছিল থাই পুলিশ। দীর্ঘ শুনানির পর বুধবার সকালে ওই মামলার রায় ঘোষণা শুরু হয়।
৪৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় দিনের প্রথম অংশে। বুধবারই দিনের দ্বিতীয় অংশে মামলার পরবর্তী আসামিদের শাস্তি ঘোষণা করা হয়। আদালতের প্রথম অধিবেশনে বিচারক ২২ জনের বিরুদ্ধে দেয়া রায় পড়ে শোনান। পরবর্তীতে সর্বমোট ১০২ জনকে দোষী করে রায় দেয়া হয়। একজনকে নির্দোষ ঘোষণা করা হয়েছে।
দিনের প্রথমাংশের রায়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল মানাস কংপায়েন দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে মানবপাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের প্রমাণ মিলেছে।
Advertisement
অবৈধ বাণিজ্যের দায়ে দক্ষিণ প্রদেশের সাতুনের প্রাক্তন রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী পাজ্জুবান অংকাচোটেফান দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়া সীমান্তে কয়েকটি গণকবরের সন্ধান পাওয়া যায় ২০১৫ সালে। তা নিয়ে ওই সময় থেকে বেশ তোলপাড় হয়েছে।
থাইল্যান্ডের কর্মকর্তারা জানান, মালয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি ও মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের নিয়ে এসেেএসব স্থানে আটকে রাখা হত। তাদের স্বজনদের কাছ থেকে পরবর্তী সময়ে মুক্তিপণ দাবি করা হত। মুক্তিপণ দিতে ব্যর্থ হলে তাদেরকে হত্যা করা হত।
এ ঘটনার পর তদন্ত শুরু করলে মানব পাচারের সঙ্গে থাই পুলিশ, রাজনীতিবিদ ও সেনা কর্মকর্তাদের নাম আসতে শুরু করে। আর বুধবার এসে সেই মামলায় ১০২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
Advertisement
কেএ/এমএস