দেশজুড়ে

নড়াইলের বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমানের ইন্তেকাল

নড়াইল সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি ও ১৯৭১ সালের রনাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হাবিবুর রহমান দুরারোগ্য ব্যাধী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)।

Advertisement

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের ভওয়াখালীর নিজ বাসায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। তিনি স্ত্রী ও তিন পুত্রসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, হাবিবুর রহমান ২০১৩ সালে দুরারোগ্য ব্যাধী ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়ার পর কিছুটা সুস্থ্য হলেও ৩/৪ মাস আগে থেকে তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়েন এবং মঙ্গলবার রাতে তিনি মৃত্যুর কাছে হার মানেন।

জানা গেছে, হাবিবুর রহমান ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের জন্য যুদ্ধ করতে ভারতে গিয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে এসে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি।

Advertisement

যুদ্ধের পূর্বে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সেই সুবাদে তোফায়েল হোসেন, আমির হোসেন আমু, মোহাম্মদ নাসিম, শেখ মনি, আব্দুর রাজ্জাকসহ তুখোর রাজনীতিবিদদের সঙ্গে ছিল ওঠাবসা।দেশ স্বাধীনের পর সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন।

হাবিবুর রহমানের তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলে আশিকুর রহমান শিক্ষকতা পেশায়, মেজ ছেলে রফিকুর রহমান ট্রাফিকের ইনস্পেক্টর এবং ছোট ছেলে বরকাতুর রহমান বিসিএস ইকোমিক ক্যাডার হিসেবে কর্মরত আছেন।

হাবিবুর রহমানের মৃত্যুর খবর শোনার পর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ বাড়িতে ছুটে যান এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

আজ বুধবার বেলা ১১টায় ভওয়াখালীতে রাষ্ট্রীয় সম্মানা গার্ড অব অনার প্রদানের পর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে। এরপর গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর গ্রামে নেয়া হবে। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হবে।

Advertisement

হাফিজুল নিলু/এফএ/আরআইপি