আইন-আদালত

ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার হচ্ছেন চাঁদপুর জেলা জজ

মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার মো. শহিদুল ইসলাম ঝিনুককে সুনামগঞ্জের জেলা জজ হিসেবে বদলি করা হচ্ছে। তবে তার জায়গায় স্থলাভিষিক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে ট্রাইব্যুনালের সাবেক ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. সেলিম মিয়ার নাম। বর্তমানে তিনি চাঁদপুর নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালের জেলা জজ হিসেবে কর্মরত।

Advertisement

অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই রেজিস্ট্রার নিয়োগের বিষয়ে গেজেট প্রকাশ হতে পারে বলেও আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার শহিদুল ইসলাম ঝিনুককে বদলি করে মো. সেলিমকে স্থলাভিষিক্ত করার প্রস্তাব বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে রয়েছে। ওই প্রস্তাব সুপ্রিম কোর্ট থেকে অনুমোদন দেয়া হলে আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার শহিদুল ইসলাম ঝিনুক জানান, আমিও এমন একটি প্রস্তাবনার কথা শুনেছি, তবে এখনও এ ধরনের কোনো নির্দেশনা হাতে পাইনি।

Advertisement

জেলা জজ পদমর্যাদার বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম ঝিনুক কুমিল্লায় বদলির জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন বলে জানা গেছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত কয়েক দফা ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার পদে পরিবর্তন হয়েছে। এর আগে ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার ছিলেন আইন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (মতামত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, তার আগে ছিলেন এ কে এম নাসিরউদ্দীন মাহমুদ।

২০১০ সালে বর্তমান ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি শাহিনুর ইসলামকে রেজিস্ট্রার নিয়োগ দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়। ওই সময় ডেপুটি রেজিস্ট্রার ছিলেন মো. সেলিম মিয়া।

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ বিচারপতি নিজামুল হককে চেয়ারম্যান, বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ এ কে এম জহির আহমেদকে সদস্য করে গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

Advertisement

এরপর আরও তিনজনকে যোগ করে প্রথম ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ টি এম ফজলে কবীরকে চেয়ারম্যান করে ২০১২ সালের ২৩ মার্চ দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়।

তিন সদস্যের দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই বিচারক হন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এবং ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার মো. শাহীনুর ইসলাম। এরপর মামলার সংখ্যা কমে এলে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পুনরায় দুই ট্রাইব্যুনালকে একটিতে রূপান্তর করা হয়। বিচারপতি ফজলে কবীরের স্থলে প্রথম ট্রাইব্যুনালে সদস্য করা হয় বিচারপতি আনোয়ারুল হককে। তবে ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি আনোয়ারুল হক মারা যাওয়ার পর এখনও চেয়ারম্যান হিসেবে কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি।

এফএইচ/জেএইচ/আরআইপি