জাতীয়

জবির দুই বাসকে উল্টোপথে যেতে দিলেন না ট্রাফিক সার্জেন্ট

রাজধানীতে পুলিশ সার্জেন্টের বাধায় উল্টোপথে যেতে পারেনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি বাস। সঠিক পথেই গন্তব্যে যেতে বাধ্য হয় তারা। তবে বাধা দেয়ায় ওই সার্জেন্টের সঙ্গে বাসে থাকা জবির ছাত্রদের মধ্যে ধাক্কা-ধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে অন্য ছাত্র ও পুলিশ এসে নিবৃত করে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের।

Advertisement

সোমবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে এ ঘটনা ঘটে। ওই ট্রাফিক সার্জেন্টের নাম কায়সার হামিদ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে শাহবাগের দিক থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি দোতলা বাস বাংলামোটরের দিকে আসছিল। তবে সামনে যানজটের কারণে ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকে বাস দুটি। বেশ কিছুক্ষণ থাকার পর শিক্ষার্থীদের চিৎকারে বাস দুটি উল্টোপথে সোনারগাঁও ক্রসিং মুখে মোড় নেয়। কিন্তু বাধা দেন কর্তব্যরত ওই ট্রাফিক সার্জেন্ট। সার্জেন্ট ছাত্রদের চলতি ট্রাফিক আটকাতে নিষেধ করেন। এ ঘটনায় বাসের বেশ ক’জন ছাত্র ওই সার্জেন্টের দিকে তেড়ে আসে। শুরু হয় বাক-বিতণ্ডা। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে ধাক্কা-ধাক্কির ঘটনাও ঘটে। এ সময় আবার কিছু শিক্ষার্থী ঘটনা থেকে উভয়পক্ষকে নিবৃত করার চেষ্টা করে। শেষে বাস দুটি সঠিক পথেই কারওয়ান বাজারের দিকে রওনা হয়।

ঘটনা সম্পর্কে জানতে যোগাযোগ করা হলে সার্জেন্ট কায়সার হামিদ জাগো নিউজকে বলেন, ট্রাফিক আইন অনুযায়ী রাস্তায় যানবাহন চলাচলে নির্দেশনা ও সহযোগিতা করাই আমার কাজ। রাস্তায় অহেতুক যানজট তৈরি ও যান চলাচল গতিহীন করে উল্টোপথে যান চলাচল দণ্ডনীয় অপরাধও।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, বিকেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি বাস বাংলামোটরের দিকে আসে। ওই সময় কারওয়ান বাজার পর্যন্ত বেশ যানজট লেগেছিল। কিন্তু বাস দুটি হঠাৎই উল্টোপথে মোড় নিয়ে ঢোকার চেষ্টা করে। আমি বাধা দিলে শিক্ষার্থীরা ক্ষেপে যায়। আমার সঙ্গে বাক-বিতণ্ডা এমনকি ধাক্কা-ধাক্কিও হয়। তবে মারধর কিংবা হাতাহাতির ঘটনা ঘটেনি। অন্য শিক্ষার্থীরা নিবৃত করে। আমার অন্য সহকর্মীরাও এগিয়ে আসায় বাস দুটি পুনরায় সঠিক লেন ধরে কারওয়ান বাজারের দিকে চলে যায়।

সার্জেন্ট কায়সার হামিদ জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়নি। তবে বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।

ডিএমপির ট্রাফিক দক্ষিণের রমনা জোনের সহকারী কমিশনার মো. আলাউদ্দীন বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি বাস বাংলামোটর থেকে উল্টোপথে সোনারগাঁও ক্রসিংয়ের দিকে যেতে চাইলে কর্তব্যরত সার্জেন্ট কায়সার হামিদ বাধা দেন। এতে শিক্ষার্থাীরা সার্জেন্টের ওপর চড়াও হয়, ধাক্কা-ধাক্কি পর্যন্ত গড়িয়েছিল বলে জানতে পেরেছি। তবে বাস দুটি সঠিক পথেই চলতে বাধ্য হয়েছে।

জেইউ/বিএ

Advertisement