খেলার মাঠ ছেড়ে সাগর জলের অতন্দ্রপ্রহরী হয়ে দেশ সেবার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ছয় জন খেলোয়ার। ওই ছয় তারকা ফুটবলার হলেন অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম, ফরোয়ার্ড জাহিদ হাসান এমিলি, মিডফিল্ডার জাহিদ হোসেন, ডিফেন্ডার শাকিল আহমেদ, রায়হান হাসান এবং গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল। এই ছয় ফুটবলার গত মার্চ মাসে নৌবাহিনীর চিফ পেটি অফিসার পদে নিয়োগ পান। বিষয়টি রোববার নিশ্চিত করেন নৌ-ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের সচিব লে. কমান্ডার শহীদ হাসান।বাংলাদেশের ইতিহাসে জাতীয় দলের ফুটবলারদের এই প্রথম কোনো সার্ভিসেস দলে যোগ দেয়ার ঘটনা ঘটল। এর আগে সেনাবাহিনীর ফুটবলার ফরোয়ার্ড মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন জাতীয় ফুটবল দলে খেলেছিলেন। এখন খেলছেন নাসির উদ্দিন। তবে তিনি সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কমান্ডো প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু সেটা ছিল তাদের প্রস্তুতির অংশ। ২০১৩ সালে ১৫ জন দাবাড়ু নৌবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। গত বছর যোগ দেন মামুনুর রহমান চয়ন, কৃষ্ণ কুমার ও তাপস বর্মণ- এই তিন হকি খেলোয়াড়। তারই ধারাবাহিকতায় এবার ছয় ফুটবলারকে নিয়োগ দিল নৌবাহিনী। নৌবাহিনীর চিফ পেটি অফিসার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া এই ছয় ফুটবলারের মাসিক বেতন-ভাতা বাবদ পাবেন প্রায় ৫০ হাজার টাকা করে। সেই সঙ্গে রেশন ও আনুষঙ্গিক সুবিধা তো রয়েছেই। বেতনের শর্তাবলিও ফুটবলারদের অনুকূলে। খেলোয়াড়রা তাদের ফুটবল ক্যারিয়ার শেষ করার পর নৌবাহিনীতে ফিরে যাবেন। তার আগে মাঝেমধ্যে নৌবাহিনী ফুটবল দলের সঙ্গে অনুশীলন ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশ নেবেন। নৌবাহিনীর দলেও খেলবেন তারা। পাশাপাশি বাহিনীর প্রশিক্ষণও অব্যাহত থাকবে তাদের। চিফ পেটি অফিসার হিসেবে তাদের নিয়োগ হলেও ছয় মাসের মধ্যে জুনিয়র অফিসার হিসেবে পদোন্নতি পাবেন বলে জানা গেছে। জেআর/এআরএস/এমএস
Advertisement